এখন কান্নার সময়!দই পাতানো বিষাদে সমবেদনার সর ফেটে-ফেটে গেছে ভাদর রোদে
খাঁ-খাঁ শূণ্য মাঠের মত!সরবের দেশ ধ্বংস কন্যার
আক্রোশে ঢেকে গেছে নিস্তঃব্ধতার নিলীমা
লোবানে ৷ অস্তিত্বে-অস্তিত্বে নাশের অনুবীজ বিদারণে বেরিয়ে আসে জরার মরাল কর্কট ৷ মূল্যহীন কাগজের মত দুমলে-মুচলে ছুড়ে মারে
অস্তিত্ব অবাঞ্চিতে ভুলে যাবারও গহিনে ৷ অনাসক্ত
চোখ দুরু-দুরু বুকে হিসেবের খাতায় একে-একে
টালি টেনে যায় মৃৃৃৃত্যুরও উপত্যকায় ৷


মাটির অন্ধকারের শেষ গন্তব্যেরও আগে একপাশে
আড়ষ্ট ব্যর্থ চেষ্টারাও ৷ প্রাণবায়ু ওষ্ঠাগতেও যখন আজ বিদ্রোহী বাতাস কেবলি ধ্বংস যপে ৷ নয়ন বিদীর্ণ অশ্রুজলে স্মৃৃৃৃতিরা কুড়ায় বেদনার নীলমনি,আর গাঁঁথে বিদায়ী মাল্য;পরায় শোকেরও
গলে এই নিষ্ঠুর সময়ের প্ররোচনায় ৷ আশারা শুধু
ভরা গাঙের ভাঙা কুল ৷


টীকে থাকার চরম শর্তে, চারদেয়ালে বন্দী রোজনামোচার কলম কথারা ৷ ইচ্ছারা স্বপ্ন সিঁড়ি
ডিঙিয়ে বারে-বারে পেতে চায় স্বর্গের আশ্বাস ৷
ভাঙে ঘোর নিয়তির নষ্ট খেলের ধাক্কায় ধরাপতিত
যখন কষ্টের রুক্ষ্ম বাস্তবতা ৷ অতীতের ফিরে-ফিরে
আসা চেতনারা স্বার্থ নিজ বর্তমানে ক্ষীয়মান ৷
রুগ্নতা বন্ধ দ্বারে-দ্বারে খুঁজে একটু আশ্রয় ৷ আর দেখে শশ্রুষার শেষ দমের আয়ুর নিলামে ঐশ্বর্যের
তীব্র বৎসা ৷ বৈষম্যের আলোর সওয়ারী হয়ে কেউবা সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ৷ ভাগ্যহত অন্ধকার
সামনে দেখে শুধু এক নিশ্চিত মৃৃত্যুর পরোয়ানা ৷ বেলা শেষে সকল লেনা-দেনার শেষ বন্দরে এসে দাঁড়ায় যমদূতের কালো জাহাজ ৷


সম্পর্কগুলো আজ শারদীয় আসমানে ভাসা পলকা
তুলট মেঘের মতই ভরসাহীন ৷ চাল-ডাল-তেলও
আজ প্রাণাধিক প্রিয় ৷ মূল্যহীন জগৎ প্রস্থান এখন
কেবলি একটি সংখ্যা ৷ জীবন-মৃৃৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও
পাপীষ্ঠ লিপ্সা সগর্বে দাঁড়িয়ে থাকে নিথর হীমশীতল মামুলি বুকে ৷ রক্ত আদেশে অনুগত চলে
জোর কদমে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে ৷
অরাতি গুপ্ত রণক্ষেত্রে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে নিরস্ত্র
বিবেকী নশ্বর সামান্ত মুক্তিরও অন্তিম প্রয়াসে ৷
আর শোকে মুহ্যমান নয়!কালিমা পঙ্কে জেগেছে যখন বিষাদের অরবিন্দু!এখন কান্নার সময়!কাঁদ!
শুধু কেঁদে যাও অবিরত মুষলধারে! আত্ন শ্লেষে!
এই নষ্ট সময়ের নিপাতে !