বাগানবিলাসটা বাড়ে,আর আমি হাসি ৷
ভরে যায় গোলাপি ফুলে-ফুলে;  আমি
উড়ি রঙিন প্রজাপতির মত স্বপ্ন ছোঁয়ার
রঙিন ডানা মেলে ৷ চপলা বর্ধিষ্ঞু যখন
কাটা পড়ে নিষেধের ধারালো ছাঁটে ৷ শূন্যে
মেঘবরণ কেশ দুলিয়ে আর বিলের রক্তিম
শাপলা তুলি না ৷ পরান পিঞ্জিরের পাখিটা
যখন মরে গেছে প্রভু ভক্তিতে!অশ্রু জলে
এঁকেছি শুধু বেদনার নীল     ক্যানভাসে
নাকের নোলক আর কপালের   টিকলী ৷
কন্যাদায়ের সংস্কারের অংগারে  পোঁতা
যখন ইচ্ছার গর্ভপাতী অনিচ্ছারা ৷ নিস্তব্ধ
নিশুতিতে একাকী কুহুকিনী গেয়ে যায়
বিরহের গীতি,নষ্ট দিনেরও লাজে ৷ শুকিয়ে
গেছে তব মুক্ত শতদলের প্রাণের সরোবর ৷
ভাসিয়েছি ভেলা উতলা গাঙে বেহুলারও
সনে;মঙ্গল সূত্রেরও বাঁধনে ৷ মাজে চলেছি
আমি সদা পর পাপের প্রায়শ্চিত্তে ৷ দুতীরে
শুধুই শুনেছি উদ্যত ভূজঙ্গের হাঁস-ফাঁস!
আসমানে তাকিয়েছি, দেখেছি অন্ধকার ৷
বাতাসে ভেসেছি ,পেয়েছি ধ্বংসের রোষ!
মহুয়া মোদকে পাড়ে ভিড়িয়েছি যখন ভেলা;
হে দেবী মনসা,তুমি মোরেত করোনি ক্ষমা ৷
তবুও আমি ঘুরেছি পথে-পথে  যুগ হতে
যুগান্তরে সতী নিতারও তালাসে ৷ অনুকম্পার
স্বর্গ সুধায় যদি মৃৃৃৃৃত গতর আবারও ফিরে
পায় জীবন ৷ আমি যে হারতে শিখিনিগো মা!
আমি যে এই নষ্ট
সময়ের অর্ধাঙ্গিনী বীরাঙ্গনা বলছি !