বিষাদেরও গোধুলি কালে শীত রিক্ত হতাশারা
রোদে পোড় খাওয়া চিতি পড়া ঝরা পাতার মত চর্কি ঘুরা দিতে-দিতে পতিত মলিন-নিঃসঙ্গ ধরাতলে ৷ মহা প্লাবনেরও ভরা গাঙে বুভুক্ষু জলদানবের অতৃৃৃৃৃপ্ত গ্রাস শেষে উচ্ছিষ্ট হয়ে পড়ে থাকা জলে হাবু-ডুবু খাওয়া ভাঙা চরের মত কোনমত মুখ তুলে জেগে থাকাই যখন বাঁচার
স্নারক ৷


চরম সত্যের মোহ ভাঙে পিছনে পড়ে থাকা সময়ের কান্নায় ৷জীবনের রঙিণ স্বপ্নময় ঘোরের
কোকুন ফেটে বেরিয়ে আসে ফুলদানিরও বাসি
ফুলের মত পল্কা জির-জিরে জীবন্মৃৃৃৃৃত কম্পিত বর্তমান ৷ বারে-বারে ফিরে আসে অবুজ আবেগ
সাত সাগর তের নদী পাড়ি দিয়ে স্নরণ দ্বীপে হারানো তোতার খোঁজে ৷ কিন্তু হায়!এ কি অভিশপ্ত
মিথ্যা মায়ার খেল!ভূতের আযদাহা গিলে খেয়েছে সব হরষের সরল হিস্যা!


হে নিষ্ঠুর রহস্যময়ী!তুমিত শুধু জান স্মৃৃৃতিতে-স্মৃৃৃৃতিতে বেদনার দমকা বাতাসে ক্ষণে-ক্ষণে দু চোখে রোরুদ্যমান ঝড় তুলতে বুকে পাথর চাপা দেয়া নিঃশব্দে!দিতে কি পারনা কেবল একটি বার!
শুধু কেবল একটি বার!এই যৌবন তিয়াসে কাতর প্রাচীণেরে চির বসন্তের নিধান!


ভিতর হতে ডাক আসে সদা নিজেরও নামে ৷ জীবনের মানেরা চাওয়া-পাওয়ার ঠাঁস বুননে
সম্পর্কের ফোঁড়-ফোঁড়ে গেঁথে যায় আয়ুরও নকশীতে নানা সুখ-দুঃখ,আনন্দ-বেদনা,উথ্থান-পতনের এক বারোয়ারী যৌগ পৃৃৃৃথিবীর চলমান চিত্রপট ৷অন্দরের আর্কাইভ হতে উড়ে-উড়ে আসে
পুনরুথ্থানের ফিনিক্স, নীভু-নীভু ক্ষণে দম দেয়ার
উপশম নিয়ে ৷ সৃৃৃষ্টির হাতে সময়ের পাতে খোদিত হয় যখন মুক্তির দেবীর পবিত্র প্রতীমা ৷ চেতনায় যে
সুর তুলে বোধেরও টংকারে ৷


মামুলি প্রাপ্তির বিন্দু-বিন্দু সুখে জমা ঐশ্বর্যই শুধু এই ঋণাত্নক মুহূর্তে পরমতুষ্টির একমাত্র পাথেয় ৷
সোনালী সময় জড়ায়ে ধরে পরমও মমতায় পিছন হতে আবেগে প্রিয়ার তুল-তুলে হাতে ৷ জেগে উঠে আশারা স্বর্গেরও কিন্নর কন্ঠি ডাকে ৷ দৃৃৃৃষ্টিরা আত্নস্বীকৃৃতীতে চায় আগামীরও উদয়ের পানে ৷


তবুও আসে জিজ্ঞাসারা নিজেরও কাছে ঘুরে-ফিরে
দ্বারে-দ্বারে সকল দুঃখ-শোক-বিচ্ছেদ শেষে কেবল
সম্পর্কের অধিকারে অস্তিত্বের শেষ ঠিকানায় পূর্ণতারও যপে ৷ অন্তের পরোয়ানা ডাকে অবগতে
পাতালের রাজ্যে ৷ তবুও সমাপ্তি রেখারও আগে আত্না খুঁজে পায় জীবনেরও মানে বেলা শেষেরও
এক প্রসন্ন হেমময় সাঁজে ৷ খাঁ-খাঁ শুন্যতারা পূর্ণ কানায়-কানায় ৷ মনেরও বাতায়নে বসে খোলা নয়নে দেখে মহাপ্রস্থানেরও ওপারে অমৃৃৃৃৃত নহরে,
সুখেরও তরঙ্গমালা নাচে সদা আনন্দ-হিল্লোলে ৷