ভাঙা পাড়,ডুবে ভাগ্য গাঙের অতলে ৷
শিকড় ধরে টান মারে নাশ করাল ঘূর্ণিতে ৷
শান্তির প্রদীপ নিভে গেছে গঙ্গা মাতার অভিশাপে ৷
শোকের মাতাম ফিরে-ফিরে আসে ভঙ্গিল স্মৃৃতিতে ৷
স্রোতে-স্রোতে বলিদান কত প্রাণের বিসর্জন ৷
জলে ভাসা ভস্ম আশায় শুধুই সর্বহারার ক্রন্দন ৷


দুবলার চর,সোনালী ফসল সর্বনাশা স্বার্থপর ৷
লাঠিয়াল হাঁকে,বল্লমের খোঁচায় রক্তেরও নহর ৷
নগদ খেল শিকস্তিতে,পয়স্তি গেল জোতের হাতে ৷
অশ্রুসজল দুঃখেরও অনল নিভিলনাত পলিরও
পরশে ৷
ভুখার অন্ন কেড়ে নিল সব কলির মহিশাশুর ৷
কার ইশারায় নিশ্চুপ রইলে তুমি,এক চোখা বিচার ৷


উড়ে চলা পাখি,নীড় ভাঙা হারানো স্বপণে ৷
নীল শহরের অন্ধকারে পেতেছ কি তবে জীবনের
পরাজয়ে ,
লক্ষ্মীছাড়া বসত অবাঞ্ছিত কীট-মাকড়ের ৷
তেল-কালি মাখা হাত,তুমিত ছিলে একদা
প্রণয়গন্ধী চৈতালীর ৷
রাঙামাটির সন্তানের পদতলে ছ্যাঁকা দেয় ঐশ্বর্যের
কাল রাস্তা ৷
যেখানে শুধু জবান আছে অনুভূতি নেই,তবুও
বেঁচে থাকা ৷


যাপিত রজনী,শায়িত নিদ্রাহীন,হারাণো পিছু টানে ৷
সামনে শ্যামলা মাঠ,দাঁড়িয়ে তালগাছটা ঐ দূরে,
ফাগুনের ঝরা শিমুলে ঢাকা আবিরা পথ শেষে
মলিন খড়-কুটেরও কুঁড়ে ৷
নাহ ! পিছনে ঐ সর্বনাশী জল ডাকিনীর গ্রাসে
গোয়াল গেল, উঠোন গেল,গেল ঘর একে-একে ৷
তবুও ভাঙে ঘোর বারে-বারে, অস্তিত্ব নাশীর ঘোলা বুক চিরে যেন কোন মায়াবিনী ডাকে ৷


(কবিতাটি নদী ভাঙন প্রসঙ্গে রচিত ৷)