হায় পত্রঝরা শালের রাঙা মাটিরও মুক্তি!
খন্ডিত অবসর কেড়ে নিল যখন কেকা
ডাকার সোনালী প্রভাত ৷ হীন নীল দস্যুদের
লোপাটে আজ কারুকার্য খচিত চীনামাটির
রেপ্লিকার মতই ভেঙে খান-খান;নিশুতিরও
ভয়ার্ত চিতা গর্জন নিস্তব্ধতা!ঐশ্বর্যেরও কাল
ধোয়ার্ত নিশ্বাসে শ্যাওড়ায় তিমিরও শংকায়;
জোনাকীর ঝাঁক কোন অতৃৃৃৃপ্ত প্রেতাত্নার  কষ্ট
হয়ে আর জ্বলে না ৷ পোড়া অঙ্গারের ধূসর
পরত গলা টিপে ধরেছে নির্মল সবুজের!হে
চাঁচাছোলা নিসর্গ,আর কতকাল দেখে যাবে
বিটপীরও মায়ার বন্ধন চ্যুত ঘূর্ণিত পক্ষল ভবিষ্যতের অনিশ্চিত গন্তব্য?বাইদের বুক
চিরা দখলে শুকিয়ে গেছে যৌবনে প্রমত্তা
বানারের সুখ স্মৃৃতিরও আস্বাদ ৷ গহিনের
ছায়া ঢাকা নীরবতায় নেমে এসেছে তব
বিনিদ্র সরব দিবসেরও আধিপত্য ৷ শুকনো
পাতার ঝিল্লরও রাগের অরণ্য মুকুরেরও বিহঙ্গ উচ্চাঙ্গের তাল ভাঙে গতিরও অশ্রাব্য কর্কশ
অনুনাদ ৷ মুছে গেছে ভাঁট-কলমি ফুলে
প্রজাপতিরও ভালবাসার আলিঙ্গনের ইতিহাস ৷ দুরন্ত শৈশব এখন আর নেয় না গঙ্গা ফড়িংয়েরও পিছু ৷ মিথ্যা কল্পনার নীলবিবর শুষে নিল যখন নাঙা পদতলেরও  শিশিরে সিক্ত
দূর্বা অভিসারের অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো ৷