চাইলাম গোলাপ!পেলাম কাঁটার আঘাত!
শুচি জমিনে যতই পুঁতেছি কল্যাণ!
ততই হূল মেরেছে মোরে বিষাক্ত বৃৃৃশ্চিক!
অপমানে পেতে চেয়েছি সঙ্গ ৷
তবুও মুখে পড়ল চপটাঘাত রুষ্ট রোষে!
মঙ্গলে নাঙা হাতে ধরেছি জ্বলন্ত অঙ্গার!
হায়রে সমবেদনা!
পেয়েছি জনে-জনে শুধু বিদ্রুপের অট্টহাসি!
প্রতি পদে-পদে পড়েছি ৷
আর সহায়ে শুধু তোমাকেই ধরেছি ৷
তুমি শুধু ছেড়েছ!
আমি পড়েছিত পড়েছি সন্মানশৃৃৃঙ্গ হতে অপমান
পাতালে!
বিশ্বাসে খুঁজেছি যখন প্রশান্তির মুরুদ্যান রিক্ত-রুক্ষ্ম
প্রান্তরে,
তুমি বারে-বারে পালালে মরীচীকারও আড়ালে!
প্রাণপ্রিয়ের বলিদানে,স্বপ্নে দেখালে মোরে মুক্তির
দ্বারে!
ধৈর্যেরও শেষবিন্দুতে ছুড়ে দিলে,অগ্মিফুলেরও
সোনালী বাগে!
ভ্রষ্টতা দিল ক্ষনিকের তরে সুখের হাসি;আসমান হতে খসে পড়া তোমারি রক্ত মাখা তীরের দর্শণে!
মিথ্যা অহমের গৃৃৃৃদিনীরা যখন তোমায় ছুতে চেয়েছে;শ্রেষ্ঠত্ব ছেড়ে মামুলি মৎস্য হয়েছিল সত্যের
সৈনিক!
ক্ষনিকেরও ভুলে!বনস্পতিতে লুকানো পূর্ণাত্মা হল
ধারাল করাতে দুফালা!
তিন অন্ধকার উগরে দিল ভুলের প্রায়শ্চিত্ত ৷
কান্নারও শেষে,শেষ কীড়াটাও বিদায় নিল শত ছিদ্র
পঁচা-গলা গতর হতে ৷
খুদে মশক কুরে-কুরে খেল দিগ্বীজয়ীর অনুর্বর মস্তিষ্ক!
আবাবিল কঙ্করে গজ বীর এফোঁড়-ওফোঁড়!
অভিশপ্ত রক্তাক্ত নীলে সমাধীস্থ ঈশ্বরের পোশাকের
সবুজ চোখা নাফরমান!
তবুওত মহাপ্লাবনের চল্লিশা শেষে নষ্ট পৃৃৃথিবী
আরেকবার পেয়েছিল নতুন জীবন ৷
বিষাদের স্তরে-স্তরে স্তরীভূত দুঃখ আজ নিরেট
পাষাণ!
ধৈর্য্য ভাঙে,আমি অঝোরে কাঁদি!
আর প্রতিবারে যতই হারাই হতাশার উত্তরহীন কানাগলিতে;পথেরও শেষে প্রতিবারে শেষ অবলম্ভনে পাই,তোমার স্বর্গীয় প্রসন্ন হাসি ৷
রত্নরাজ্যে প্রবেশের চাবির ভারবাহী চল্লিশ উটের
কাফেলা চাইনা!
যাতনার সিন্ধু সেঁচে,সবর মনিমালায় তোমার ছায়া
তলে চাই শুধু একটু আশ্রয়;সিঙ্গারও শেষ ফুঁকের
শেষেরও দিনে!
আকাশে খসে পড়া তরুপত্রে লেখা নামের শেষ পরোয়ানায় পড়বে যখন পবিত্র এক ফোঁটা শুভ্র
তরলের সীলমোহর!
শুধু ধূলোয় মলিন পথ,হারাবে মোর পদচিহ্ন!
দুশ ছয়খানা হাঁড়ের রক্ত-মাংস হবে মৃৃৃৃৃত্তিকারও
আঁধারে;শুধুই পোকা-মাকড়ের খাদ্য!