চলছে জীবন পাথুরে খাঁজে ৷ বনরাজ
আর ফাঁকা আওয়াজের মাজে ৷ আশ্রয়
আজ সংকীর্ণ জিরাফের জিহবা;অসহ্য
বাবলা কাঁটার স্বাদ নিয়ে বাঁচা!হারিয়েছে
অটবী যখন সাম্ভারের ডাক;লালসার
ফলা চিরা লাল মাটির বেদনায় ৷ নিশি
ভুতুমের মত ঝাপসা হয়ে আসে রাতের
কালোরা আলোর তেলেসমাতিতে ৷
নখরের থাবা আজ সহজ প্রাপ্যে ৷ অর্গাণ
সবুজ চোখ ঝলসানো রাজ্যে বসত
পেঁতেছে যখন মকর পালকের দল ৷
সোনালী চাদরে ছড়ানো রাশি-রাশি
কালো গোলাপ ছাপের ট্রফি আর আশ্রয় পায়না
শীতে ঝরা পাতার শালবনে ৷ ওঁত পাতা
গুপ্তঘাতকের ঠাহরে কান খাঁড়া সতর্কতায়
পালায়না নীলগাই ৷ কোথায় হারাল কেকার
ডাক?কোথায় অধরা সোনার মায়া!?
ঈশ্বরের মেদিনীতে সভ্যতার হাতুড়ি-বাটালীর
ঘা রচে যায় ইট-সুরকীর নরক প্রতীমা!
অযোগ্যতমের হারে সিদ কাটা চোরের মত
গভীর তিমিরের নিস্তব্ধতা খুঁড়ে ঝাপিয়ে পড়ে
অস্তিত্ব প্রভূরও সারমেয়ের গলে ৷ কে ভেবেছে
তমাল-বরুণের কথা?নিজ ভূমেরও আদিম
সন্তানের হলুদ খোদের পিছু নিয়েছে আজ
দখলদারের সারিবদ্ধ অগ্নিমশাল ৷ হিংস্রতার
বন্ধুর হল অন্তরীত জালে;
আয়েশেরও একি সমতলে ৷