গ্রহন লেগেছে মনে !
কি স্বপ্নের তিলোত্তমা!কি তৃৃৃণেরও মূলে !
দাপটে হাসে পতি উদ্যত বর্শা-ঢালে !
সুন্দরী প্রতীমা চন্দ্রিমা রাতেরও পিছনের আঁধারে
নির্মুক বদনে;যেন দমিত-পদানত-নিষ্পেষিত অর্ধাঙ্গিনীর আর্তনাদ !
শুক্র যখন আজ শনির সংক্রান্তিতে ৷
ঝিনুকে খোলসে মুক্তোর সুখে,ইর্ষান্বিত রাহুর আমাবস্যা রাতের পর রাত গ্রাসে-গ্রাসে গিলে খায়
পঞ্চদশীর চাঁদোয়া সুরৎ ৷
দিনের আলোরা সত্যের দর্পণে দেখাবে বলে রণদেবের নৃৃশংসতা ৷
অবলা বনিতার ইচ্ছারা সুপ্ত বীজের মত চির শীতের
রাজ্যে তুষারাবৃৃৃত এক চোখার কাল যাদুতে ৷
তরল গুনের পাতন শেষে তলানিতে পড়ে থাকা
আলকাতরার মত থ্যাক-থ্যাকে এক অচ্যুত যাতনায়
সুলতানার মৃৃত স্বপ্নগুলো পড়ে থাকে হৃৃৃৃৃদয়ের শূন্য মাঝারে ৷
অদম্যের সাথে আত্নসন্মানের সহমরণেও গুছেনা
পাপের প্রায়শ্চিত্ত ৷
ধ্বংসের লাল অকল্যাণ কল্যাণে ছুঁড়ে মারে ইচ্ছার
লাল গোলাপে লাবন্য বিকৃৃৃৃতির অম্ল বিষ !
চোখের দৃৃৃৃষ্টি খাওয়া অন্ধকার চিরে বেরিয়ে আসে
নিঃশব্দ প্রতিবাদে ঝড়ে মাথা না নুয়ানো বিস্নয়ের
স্বর্ণলতা !
মিলন খরপোষের দায় সারায়,রক্ত জমাট নীল পিঠে ঘা মারে আক্রোশে পণের চাবুক !
জেগে উঠে কৃৃৃষ্ঞকলি বজ্র্র প্রতিবাদে,সুখ ছিন্ন আলামতে নোনা অশ্রুতে লেখা করুণ স্নারকে!
অবগতে পড়ে থাকে রোজনামোচা অনাগতের, যে
হারিয়েছে অন্ধকার সময়ের দৈবচয়নের অনাহূত
পরিচয়ে; এই নষ্ট সময়ের ঘৃৃৃণায় পৃৃৃথিবীর আলো দেখার অধিকার ৷
কুমারী দায়ে মাটি চাপা পড়ে গেছে শেষ সম্বল,
যখন নির্ঘুম শোকেরা খুঁজে হারানো স্নেহ;প্রভা বিচ্ছুরিত রূপালি প্রলেপের ছাঁচে ৷
অন্দরের পিশাচ ঘাপটি মেরে থাকে দেখেও না দেখার পশ্রয়ে ৷
দীনতা বিকোয় জীবনের মূল্য কাগজের জল ছাপে!
নমুনার নাটক সর্গ হারায় কুশীলবেরও অভাবে ৷
নেতিয়ে পড়ে অধিকারের পল্কা লতা,নৃৃৃৃৃশংসতার বীভৎস্য হুংকারে!
কি সহমরণ!কি মাটিচাপা শোক!
কি নীল পিঠ!কি বজ্র প্রতিবাদ!
কি স্বর্ণলতা! কি নুয়ানো পলকা লতা!
জেগে উঠো মা অভাগিনী তুমি!
মাতঙ্ঘীরও রুধ্ররূপে!
গ্রহন লেগেছে যখন এই তিমিরও ক্ষণে !