জল কন্যা উঠে,গঙ্গোত্রীর পদ চুম্বন শেষ ৷
মৌসুমী উদাসে শিকর মাখা পবনে কেশে-
কেশে লাগে মোদক উতলা তরঙ্গে ৷ বর্ষা
অবগাহনে ঝরো-ঝরো বিন্দু বারিতে লেগে
থাকে যেথায় পলিরও দুঃখ ৷ হার না মানা
মন,জলদগুপ্ত রহস্যের টুঁটী চেপে ধরে;
চৈতালীর সোনালী স্বপ্নে ৷ মাতঙ্গী নাচেরে
আজ ধ্বংসের ভৈরবী নৃৃৃৃৃত্যে আসমুদ্রহিমাচলে,
সদূরও সিন্ধুর কালো বার্তায়!দুকূলে মেলে
পাখা সর্বনাশিনী বিহঙ্গ;মাতাল যৌবন ভরা,
যখন শুধুই হারানোর দীর্ঘশ্বাস!উতলা ঘোলা
মুছে দেয় রঙিন আশা ৷ আশ্রয়ের কার্নিশে-
কার্নিশে সমবেদনা দেখায় কেবল দুনয়নের
নোনতা অশ্রু ৷ একি ডালে আবাস পাতে
শিকার-শিকারী ৷ বৈরী ভেঙে দিতে চায়
খন্ডকালে আশ্রয়-পালিতের দেয়াল;আদিম
বন্যতারও এক অকৃৃৃৃৃত্রিম নৃৃশংস ভালোবাসায় ৷
নিষিদ্ধ মুক্তির কপাট,ভাগের দুষ্টে সেত আজ
বালির বাঁধ ৷ ঐ দূর পাহাড়ের শোক, নীলিমা
আকাশ ভুলে কৃৃৃষ মেঘের কান্নায় ৷ তবুও
বিলীন অস্তিত্বের উপরে মাথা তুলে,কোমর
পানিতে দাঁড়িয়ে থাকে টীকে থাকার হাসি ৷