মেহেদী রাঙা হাত,মাথা নত করোনা
প্রেমেরও বেদীতে ৷ খুলে ফেল বেদানা
রঙা চশমা,ত্রীশূল যখন হাবু-ডুবু খায়
ডাকিনীরও প্রেমে ৷ জলপাই বাগেরও
ঈর্ষায়;এলোকেশী তুলে উদ্যত নাগীন
ফনা!ক্ষনকালের খেয়ালি   উদাসের
প্রায়শ্চিত্ত শুধুই কি আধা পাপ আর আধা
পূণ্যে,হে দেবরাজের সিন্ধু ঈগলী পীতাভ
কামনার চোখ?কৃৃষ্ণ ঈষাণের বজ্র রোষে,
ঝর-ঝর বারিধারায় আর কত   কেঁদে
যাবে পদ্ম পাতা!বিশ্বাসে নেচেছিল যখন
ময়ূরী স্বর্গ সুখে;ওক বন দেখাল শুধুই
সারশূন্য তুষার ঢাকা      নিস্তব্ধতা ৷
অবিশ্বাসেরা ভেঙে ফেলে যত শাশ্বত
ভালবাসার প্রতীমা প্রবল আক্রোশে ৷
তবুওত পড়ে থাকে বাসি বকুলের মালা
মলিনও গন্ধ নিয়ে;গোলাপ যখন পেঁতেছে
বাসর কুঞ্জেরও কন্টক শয্যায়!তুমি কাঁদ!
চেয়েছিলে কেন তবে বিষাদের    নীল
আসমান?আর আমি হাসি ছাতিমী চৈতন্যে;
আঁকড়ে ধরেছি তখন    মৃৃৃত্তিকা ঘর্মগন্ধী ৷