উজাড় করল স্বর্গ মরার বাথানে!
কর্তিত অধরা বেড়ের পীতাভও
চক্রে-চক্রে কতইনা নীরব
বসন্তেরও গান!
পাতাল ফুঁড়ে যক্ষের ধন আনবে
বলে,ঈশ্বরের সুখ কুঞ্জে নরকেরও
গরম নিশ্বাস দিল ধ্বংসের
চল্লিশ চোর!
নিয়তিরও ছাই-ভস্নে উঁকি মারে
অরণ্যেরও আদিম সন্তান ৷
হায় মহাকালেরও লুপ্ত রাজ্যের
পাতনেরও সময় নিংড়ানো
অবশেষ!
ভোগেরও রন্দ্রে-রন্দ্রে আর কত
ফুটাবি মৃৃৃৃত্যুর ফুল?
লালসারা হয়েছে যখন ড্রাগনের
অগ্নি ফুলকি;পুড়ে অঙ্গার কালো
করে দিতে চায় মায়াবিনী
গোলাপী জালর!
পেটেরও ক্ষুধার দুষ্ট কর্কটের
বিস্তার আজ অনধিকারে পঞ্চেন্দ্রিয়ে ৷
বনেরও আইন পরেছে নীল
সভ্যতার পোশাক ৷
অটবী উজাড় প্রান্তরে-প্রান্তরে
শুধুই হারানোর বিয়োগান্তর!
তেড়ে আসে উতলা সিন্ধুর আর্তনাদ
পথহারা মহানাশী ঘূর্ণিপাকে!
বৃৃৃৃষ্টি কাঁদে,মৃৃৃৃত্তিকা তাঁতে!
হায় নোয়াহ!
কে নিবে তবে এই মহাপ্রলয়ে
সমাপ্তিরও শেষ বিন্দুর ভার?