দুঃয়ো পাখিটি গাইছে ৷ ভাষা হারা,তাল ছাড়া ৷ বিষাদেরও সুর লহরীতে ! নিঃসঙ্গ থাকার আর্তি !
অন্তরীত ক্ষুধা,অস্থিচর্মসার গতর ৷দুঃখাতুর নয়ন
ক্রন্দসী ৷ কেউ কখনও শুনেনি ৷ কেউ হয়তবা
শুনেছিল সদা নির্বাক-নিশ্চুপে বিদ্রুপের শ্লেষ মাখা
বদনে ৷ এই ভয়ে, খুলে যাবে যে দেবত্যের মেকি
মুখোশ ৷ বেরিয়ে আসবে যে কদর্যের পর প্রাণরস
শোষী রক্ত লোলুপ শদান্তিক ভ্যাম্পায়ার !


গলা টিপে ধরা নিঃশ্বাসের শেষ বিন্দু দেয় দম !
অচ্যুতের জীবন আজ ব্যাপার ৷ জাজ্বল্যমান পঞ্চাশ
তারার উত্তর-দক্ষিণের ইতিহাস;সেত গোলামীর
জিঞ্জির ভাঙার সংগ্রাম ৷ তবুও ফিরে-ফিরে আসে
দাসত্বকে গরাদে বন্দী করে রাখা রং এর পূজারী
প্রেতাত্নারা,বিশ্ব বিবেকের আইকন হয়ে অন্ধ আবেগের ব্যবসায় ফায়দা লুটা শেষ হাসির চত্তরে
অহমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ৷ বারে-বারে নিঃশব্দ আততায়ীর রোষাণলে ভূলুন্ঠিত হয় মুক্তি ৷ শৌর্য-বির্যে বাসা বাঁধে শুভ্র রাজ্যের অভিশপ্ত মন্ত্র ৷ রক্ত খেকো,জল দস্যু ত্রাতা সাজে নষ্ট সময়ের পাতায় -পাতায় ৷


সমুদ্র বধু বাসর পাতে হলুদ চোখা শতাব্দীর সেরা
নায়কের ছাদনা তলায় ৷ যে নীলের শোণিত ধারায়
বহে জাত্যাভিমানী চাপে শ্রেণীভূত নিষ্পেষিত অসূয়ায় মঙ্গলের দর্শণ ! দখলে-দখলে বিচারহীন
হত্যার নামে চলে বর্বরকে সভ্যতা শিখানোর ঐশী
কর্মযজ্ঞ ৷ ক্ষুধার অন্ন ভুখা ছেড়ে পাল তুলে দখলের
রসদ মারণ গোলা-বারুদের পানে ৷ মৃৃৃৃৃৃতভূমি পয়দা
করে যখন অগনিত শশক শাবকের নামে অবাঞ্ছিত মুখ ললাট লিখনের বদনামে ৷


অতনদ্র নাগিণের রত্ন-মানিক চাকচিক্যে ঝলকে উঠে ;অভূক্তকে আরো অভূক্ত রেখে ৷ রক্তে টস-টস
জোঁকের স্বপ্ন,সেত ভূ-গর্ভস্থ লক্ষ করোটির অপ্রাপ্তির
ভাষাহীন হাহাকার ৷ অধিকার দেয় অনধিকারে চর্চার
স্বীকৃৃতি আত্ন সমৃৃৃৃদ্ধিতে ৷


ক্যাপ্রি-ক্যাপ্রি বলে চেঁচিয়ে উঠেছিল মহাত্না,অর্ধ নগ্ন
চেতনার ভিক্ষুক সেজে ৷ নশ্বর দেহের নিপাতণে অসিদ্ধে মননে এখনও যে লেপ্টে আছে সেই বৈষম্যের অমোচনীয় কলঙ্ক ৷ আদর্শে নত শীর আজ নতুন করে ভাবতে শিখেছে;ফাঁপা মিথ্যার আরাধনা
ছেড়ে ৷


অধিকারের রক্তে ধূসর মাটিতে জেগে উঠেছে কাল বসন্ত ৷ শেষ নিঃশ্বাসের বলিদানে অস্তিত্বে-অস্তিত্বে
জেগেছে বেদনার কৃৃষ্ঞ গোলাপ ৷ মিসিসিপি জ্বলছে
মিথ্যার প্রগালভে ৷ বিদ্রোহী কাল হাত কি আজ করাল কর্কট আক্রোশে টুটি চেপে ধরবে সফেদ সাদা পূজারীর,খোয়া যাওয়া দেনার আদায়ে ?
যখন মস্তক ছিন্ন-ভিন্ন হল ঘোলা জলে তরী ভাসানো
লোলুপ প্রদর্শকের কুশপুত্তলিকার ৷ খুলে গেছে সত্যের হাতকড়া ৷ প্রতিটি রাস্তা হতে প্রতিটি চত্তর আজ এক উদার বর্ণহীন স্বপ্নে বিভোর ৷


দুঃয়ো পাখিটি গাইছে,বিদ্রোহের অষ্টরাগে, খুনেফাটা কম্পিত  স্বরপটে ! স্তব্ধ আকাশ,স্তব্ধ বাতাস,নব সৃৃৃষ্টিরও তরে ধ্বংসের ভৈরবী নৃৃৃৃৃত্যে ! আঁধারের ধ্রুব তারা কি আবার মিলিয়ে যাবে অতীত ভুলো আলোতে ? হয়তো কেউ শুনছে ৷ আবার হয়তোবা কেউ শুনেও না শুনার ভান করছে ৷