তোমারি বিলাসে আমারি মৃৃৃৃত্যু!
তোমারি উতলা চিত্তের মাতাল হরষ,হিংস্র ঈগলের
মত ঠুকরে-ঠুকরে খেল আমারি বুক!
শুভ্র আইভরিতে খোদিত কারুকাজে-কারুকাজে দেখি শুধুই এতিম মাসাইয়ের হাহাকার!
লালগালিচার রঙ্গমঞ্চে সুন্দরী ললনা তুমি,গায়ে
জড়িয়েছ যখন ইউনানের বাঁশ বনের কান্না!
হে মেঘবরণ ধূসর ফুটকির নন্দিত বুনো,
নিজের রূপেই কি লেখা ছিল তোমার মৃৃৃৃত্যুর পরোয়ানা!
এফোঁড়-ওফোঁড় নিথর কালো-লাল ডোরার বুকে
বসে,হাসে সীমাহীন লালসারা নৃৃৃশংসতায়;পোড়া
বারুদের গন্ধ মেখে!
হে নিসর্গের বিরল,জঠরের ক্ষুধায় নয়;শুধু চোখের
ক্ষুধায় তুমি সর্বগ্রাসীর রসনার তৃৃৃপ্তি নিবারণের উপাদিত খোরাক হলে!
বিত্তের ভূষণ-মননে শুধুই আদিম বন্যতার
আর্তনাদ!
স্বপ্নে পাওয়া ঔষধ,প্রাণের বিনিময়ে আর কতকাল
অবলার রক্তাক্ত গতর হতে ছাড়াবে লোম-চামড়া-আঁইশ!
শক্তির গ্রাসে যখন তুমি হলে আজ সর্বনাশা রাহু !
তীক্ষ্ম নখর-শদন্তে সাজলে নরকাসুর!
শুধু গুহাকালের অন্ধবিশ্বাসে,আর কত খুবলে খাবে
নিষ্পাপ অখাদ্যের হাঁড়-মাংস!
নষ্ট অতৃৃৃৃপ্ত বাসনা আজ শত ছিদ্র রক্ষকের দৃৃৃষ্টি গলে
চোরাই পথে;বৈধ কিংবা অবৈধ্যে তোমারি হস্তগত,
হে মনোবিকারগ্রস্ত ক্ল্যাপ্টোম্যানিয়াক!
রক্তের লালে-লালে,হারানোর বেদনা বিষাদে;
শ্যামলীমা হলেম আজ উদ্যত বিষ ফনী!
ঝাপিয়ে পড়ব দৈব চয়নে,তোমারি মিথ্যা অহমেরও
সনে;দীর্ঘ বিচ্ছেদেরও এক দন্ড সমাপ্তিতে!
এক মহানাশে!এক ধ্বংসের ভৈরবী নৃৃৃত্যে!
এক অকৃৃৃৃৃত্রিম ধরায়,এক নব সৃৃষ্টির উল্লাসে!