কে ভাঙাবে আজ রাতেরও ঘুম?ঝরে পড়া
শেফালিতে যখন বসত গেঁড়েছে দিনেরও
অবিশ্বাস ৷ হায় মনেরও মানুষ!এই বিবর্ণ
বসন্ত কি শুধুই কলকন্ঠের নীল ছলনা?
আর নয় আজ-কাল-পরশুরও রূপপাপী
ব্রুনফেলসিয়ার তরে বৃৃৃথা স্বপ্নেরও ক্ষয়!
ভালবেসেছি যখন কাগজেরও ক্যামেলিয়া
বিষাদেরও এই রিক্ত শীতে ৷ তুষার চাপা
বিরহে তুমি হাসবে শুধু লালে-লালে ৷ চলে
যাকনা ফাগুন রক্ত পলাশেরও শোকে ৷
পুন্ডরীক নামাক না এই নষ্ট পৃৃথিবীতে
বর্ষারও সরব ক্রন্দন ৷ আমি যখন বেলা
শেষেরও মলিন গোলাপের মতন; তবুও
বাঁধিব বাসর তোমারি সনে গোধূলিকে
সাক্ষী রেখে,হে হীমেরও উদিতা কাননও
রাণী ৷ সবাই যখন কাঁদবে নাগমনি হারা
বিষাদে,তখনও তুমি হাসবে আবীরা
পদ্মরাগে ৷ হারাকনা অধরা বলাকার ঝাঁক
ঐ দূর দিগন্তে ৷ তখনও তুমি বাড়াবে এক
গুচ্ছ জারবোয়া সঙ্গ রিক্ত এই মোর পানে
মনেরও কথা পড়ে ৷ নুয়াকনা ক্রন্দনে-
ক্রন্দনে সাজোয়া দেবদারু বিথী, তবুও
তুমি বিলাবে নিষ্পাপ আনন্দ নিত্য
প্রভাতে ৷ আমি যদি হই ভর ভাদরেরও
তপ্ত দুপুর,তুমি বটতলেরও শীতল ছায়া
হয়ে দাঁড়াবে মোর সনে ৷ তুমি ছাড়বেনা
মোরে কভু সফেদ কাশেরও মতন সোনালী
অগ্রানের মোহে ৷ ঢেকে যাকনা ধূলোয়
ভুল পথেরও ইতিহাস,হৃৃৃদয়েরও চীর
প্রণয়ের কষ্টিতে তৃৃৃপ্ত সুখেরও উল্লাসে
খোদিত যখন তোমারি শাশ্বত মায়াবী
চিত্রপট ৷ মুরুরও ক্যাকটাস,দিয়ে গেল শুধু
কাঁটার আঘাত!রঙিলা ভেন্ডা,এখনও মোর
কষ্টেরও অধরা!দেবী এস্থারের দিব্যি!তুমি
কি হবে আমার কাগজেরও ক্যামেলিয়া?
জনম হতে জনম ভরে দেখব বলে তোমায়,
হে মোর প্রাণেরও প্রিয়া ৷ যদিওবা হও
বাগেরও প্রসূণ;পাপড়ি মেলবে,তবে খসে
পড়বে ৷ রঙ ছড়াবে,খায় যদি চুমো অশান্ত
পরিমল!গন্ধে মাতাবে,আসে যদি মধুপ
মধুরও পিয়ে!তাই তুমি আজ নও আর
কবিরও কুঞ্জকুসুম ৷ তুমি শুধুই আমারও
হৃৃৃদয়পটে আঁকা চীরজনমেরও ক্যামেলিয়া ৷