শতাব্দী শুনছ,
আমি কবিতা ছেড়ে দিয়েছি।
কাল সকালে শাওয়ারের নিচে
একটা কবিতা আমার গা ভিজিয়েছে।
আমি সইতে না পেরে পালিয়ে এসেছি।
দুপুরে,
ঠিক দুপুরে নয়, সেকেন্ড পিরিয়ডে,
আমি যখন জিওমরফোলজির তৃতীয় বেঞ্চ-এ,
আর একটা কবিতা, আমার কানে ফিসফিস করেছে।
আমি বিরক্ত হয়ে পালিয়ে এসেছি।
বিকালে যখন আমি টিউশনের পথে,
মনে পড়ে ? তুমি যখন রেগে গিয়ে ফোন রেখে দিলে ?
একটা কবিতা আমার পিঠে হাত রেখেছিল।
আমি জোর প্যডেলে পথ ভেঙে পালিয়েছি।
তারপর রাতে, যখন তুমি ফোন তুলছিলে না,
আমি বিছানায় মোবাইলের ভাঙা স্ক্রীন-এ।
তখন একটা কবিতা আমার চুল টেনে ধরেছে,
আমায় তুলে আছাড় মেরেছে,
টেনে হিচঁড়ে এনেছে আমার পড়ার টেবিল-এ।
কান ধরে আমায় দিয়েছে কলম,
আর দিয়েছে তোমার উপহারের ডাইরিটা।
সত্যি বলছি শতাব্দী,
আমি তখনও লিখিনি, পালিয়ে মুখ লুকিয়েছি চাদরে।
কেমনে লিখি বল ? আমি যে তোমায় কথা দিয়েছি।
কি করে ফেলতে পারি ?
কিন্তু কি হয়েছে জানো ?
আজ সকালে, আমার সদ্য প্রকাশিত তেরো নম্বর কবিতা পড়ে,
এক পাঠক,
(পাঠিকা বললে তুমি রেগে যাবে,
আর তুমি রাগলে আমার কষ্ট হয়)
ফোন করে জানতে চেযেছে,
কে আমার কবিতার কবিতা ?
সত্যি বলছি শতাব্দী,
আমার বুক ফেটে যাচ্ছিল বলার জন্য,
তবু বলতে পারি নি।
কেমনে বলি বল, আমি তোমাকে কথা দিয়েছি,
শতাব্দী আমি কবিতা ছেড়ে দিয়েছি।