"খোশবু রাণী"-কালাম হাবিব
(১৬/০১/২০১৯)
বীজে ছিলে কি ছিলেনা? তাতো আমার অজানা!
কখনইবা চারা হয়ে দৃশ্যে এসেছিলে মাতৃ জরায়ু ছিন্ন করে?তাও অজানা!
তবে পত্রেও অজ্ঞাত তোমায়, আমি ওই পর্যন্ত
যবে কান্ডের গোড়া হতে ফুলকুঁড়ি নয় একেবারে বেরিয়ে ছিলে ফুটোন্ত ফুল হতে বসন্তের মলিন হাওয়ায় ভেসে।
তুমি শুধু এ বসন্তেই নয়! আরও কয়েকটি বসন্ত পার করে অহর্নিশে ধেয়ে আসছিলে আমার নাকে।
তবে তোমার পূর্ণতায় বেড়া দিতে ছিল আমার অন্য এক উদ্বেগ।
গ্রহণ করতে তোমায় আমার দ্বিধা গ্রস্ত নাক
নিয়ে খন্ড খন্ড বাক।
ছেড়ে পূর্ণ পূর্ণ কয়েক বসন্ত পৌঁছে গেছে তুমুল তপ্ত গ্রীষ্মে।
কেটে গেছে গন্ধ আমা হতে সুমধুর দৃশ্যে;
আর নেই উৎপাত বসন্তের মলিন হাওয়ায়।
তাই আজ ব্যস্ত নাক একাটিবার পাওয়ায়।
মাঝে মাঝে ছড়িয়ে চলো অনন্ত তৃপ্তির সৌরভ!
গ্রহণ করার ক্ষমতাও বিলীন, তোমার গৌরব
অতি কাছে এসেও আজ ফিরে যায় অদৃশ্য বসন্তে।
ধুকে ধুকে ক্ষয়ে যায় অতি ভাবনায় নাক!
আবার নতুন বসন্তের আশাও অঢেল!
এবার  কি নতুন বসন্ত গড়ে আমার নাকে ধেয়ে আসবেনা?
নাকি গ্রীষ্মের তপন তেজ্বে আমার অদৃশ্য কামনা করে অন্য আর এক নাকে পাড়ি দিচ্ছ বসন্তে?
আজ পথ কি তোমার পাল্টে গেছে নাকের অলসতায়?
নাকি তখনই ছড়িয়ে ছিলে অশুচি নাকের আভায়।
তবে যাইহোক, যেই পথেই ধেয়ে বেড়াও শুচি কিংবা অশুচি, তা অধ্যানেই অজ্ঞানেই থাকবে।
কুঁড়ি হতে যবে বেরিয়ে ঝলমলে সূর্যে বসন্তের মলিন হাওয়ায় ধেয়ে ছিলে এ অলস নাকে,
তোমার সেই পথ প্রশস্ত করে তোমায় গ্রহণ করে নেবো কথা দিলাম।
ধেয়ে আসবে তো খোশবু রাণী? কানে তুলবে তো এ অলস নাকের বাণী?
-------------সমাপ্ত ---------