পূর্ব পুরুষের শংকিত চর ছেড়ে এখন অনেক দূরে
অগ্রজের ক্লান্ত চোখের উঠোনে ঘাসফডিংয়ের উড়াউড়ি
সুপারী গাছের দীর্ঘ ভ্রু হঠাৎ ছুঁয়ে যাওয়া পলাতক পাখি
ন্যূব্জ বৃদ্ধার প্রাত্যহিক ধানভাঙার স্মৃতি থেকে
আমার গন্তব্য শীতার্ত শিশুরমত চমকে ফিরে দাঁড়ায়
দুপুরের পরিশ্রান্ত সময়কে যে চড়–ই মেয়ে
চুঁড়ির ভাঙনে তাড়িয়ে নিয়ে যেত
দিন যাপনের অভ্যস্ত ডানায় বিন্যস্ত তার পালক
কিশোরী মেয়ের অসময়ে পুকুর মাতানোর মত রোদ
এলে। সুর্যের দিকে প্রশ্রয়ের বকুনি ছুড়েছি কতকাল
একদিন সেই রোদ শীর্ণ শরীরে ম্লান এসে দাঁড়ায়
সেই স্মৃতির পরাগ হতে আমি উদ্বাস্তু হলাম
উদ্বাস্তু আমার প্রিয় সময়, যাবতীয় সাহস
দূর হাটে হারিয়েছি আমি ফিরে যাওয়ার পথ
সামনে এখন ম্লান সন্ধ্যায় উড়ে যাওয়া পাখি
ফিরে দাঁড়াও, হে নীড়ে ফেরা সন্ধ্যার পাখিরা