"বিপদে আমি না যেন করি ভয়", বলেছিলেন কবিগুরু;
ভেবেছিলেন হয়তো আপনাকে, তারপর করেছিলেন শুরু।
পড়াশুনার চাপের থেকে পেয়ে গেছি আজ বেশ মুক্তি;
অন্য কিছু করার জন্য বাতলিয়েছেন কত সব যুক্তি!
চপ সিঙ্গারার দোকান থেকে সাইকেল সারার দোকান,
কাশফুলের বালিশ থেকে আরো কত ব্যবসার জোগান;
বাতলিয়েছেন কত কিছু, শুধু পড়াশুনা ছাড়ার অজুহাতে,
ঠিক চলে যাবে পেট টা, ভরে যাবে তাই দিনে রাতে।
আজকে আপনার জন্মদিন, শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে।
ভালো থাকুন, আর রক্ষা করুন, বিপদ থেকে আমাকে।


ভয় পেয়েছিলাম পরীক্ষা নিয়ে, কীভাবে কী লিখবো জানি না!
ঠিক করোনা বাড়ার অজুহাতে, জানি খোলার নির্দেশ দেবেন না।
মেলা? সেতো চলতে থাকুক। রোজগার জুটবার কিছু তো চায়।
বাদাম, চপ পকোড়া বেচেই সংসার আমার চালাতে চাই।
বি এড ডিগ্রী কী করবো? এসএসসি তো আর দুর্গা পূজা না!
তার জন্য শুধু বসে থাকা, তেমন তো আর কর্তব্যও না।
স্বপ্নটা উচ্চ হোক, কিন্তু যা পাই যেন সেটাই করে নি।
স্বপ্ন পূরণ হোক বা না হোক, অনেক কিছুই দিচ্ছেন তিনি।
বিনামূল্যের বাজারে, আনুষঙ্গিকের অগ্নিমূল্য।
তাতে কি? আপনার সাথে কি হয় তার তুল্য?
আপনি অগ্নিকন্যা! সারা গায়ে ঝড়ে অগ্নির বিরাট তেজ।
জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাই, এমনটা যেন থাকে রেশ।


মদের বিক্রি ভালোই হচ্ছে, রোজগারের টাকাই ওটাই পাই।
কম দামে নেশা করেই দিনটা বেশ ভালোই চলে যায়।
রাজস্ব আদায়ও তাতে হচ্ছে নাকি? ব্যস ফ্রী তে আরো অনেক পাবো।
রেশন থেকে পাওয়া ফ্রীর মালেই পেট ভরে খাবার দাবার খাবো।
আর চাকরির কী দরকার? শুধু আলু ভাত তো নেসিসিটি।
বিরিয়ানির আভিজাত্য নাই বা দেখালাম, সাধারণ থাকাই মোক্ষম নীতি।
ব্যবসার উপায় যা বাতলে দিয়েছেন, তাতেই চলে যায় দিন।
তাইতো জানাই শুভেচ্ছা আমি, আজ মাননীয়ার জন্মদিন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, পরের বছরেও থাকুন বেঁচে।
আমরা আপনাকেই ভোটটা দেবো। আপনি দিয়ে যান আরো আমাদের যেচে।