আগে আমি লিখতাম ঠাট্টা করেই সব;
লিখেছি আমি অনেক তাঁকে নিয়ে।
এবার যা কাণ্ড তাঁর দেখছি চারিদিকে,
তাঁকে এবার কী বলবো? ইয়ে...


আগের লেখায় ভালোবাসা পেয়েছি যতসব
সেগুলোকে কুড়িয়ে নিলাম আমি।
তার ভরসা করেই এবার লিখছি সরাসরি
বন্ধ হোক এবার তাঁর তুঘলকি পাগলামী।


বাংলা নিয়ে কত ভেবে করলেন বিশ্বসেরা।
সবথেকে মিষ্টি হলো আমার বাংলা ভাষা।
আমার বাংলার সম্মান আজকে জগৎ জোড়া।
সবাই মিলে ভরিয়ে দিল বুক ভরা ভালোবাসা।


সেই বাংলার তিনিই যখন একক প্রতিনিধি:
কী হচ্ছে যদি দেখত মানুষ মেরে একটু উঁকি,
ঠিক তাঁর গদির সোফা ভিজত এমন জলে
পিছলে গিয়ে মাটির উপর পড়তেন তিনি ঠিকই।


নিজেকে তিনি মেয়ে বলেন, মেয়ে আদৌ কি?
নিজের দলের লোক ছাড়া কই সহানুভূতি?
তাও তো যদি রামপুরহাটে হিংসার সুরাহা হতো...
বিমাতৃসুলভ আচরণ টা লুকিয়ে যেত এতি।


তারপর আবার হাঁসখালিতে মেয়েটা নির্যাতিত...
মেয়ে হয়েও মেয়ের কথা ভেবেছেন কি আদৌ?
অপবাদ দিয়ে জলঘোলা করলেন তিনি আবার!
অপরাধ ঠিক লুকিয়ে যায় তাঁর ছত্রছায়ায় তো।


সংবাদ মাধ্যম গণতন্ত্রে চতুর্থ স্তম্ভ জানি।
তাঁর কথায় করতে হবে এবার উঠবোস!
হুমকি তিনি ছাড়ছেন তাঁর নিজের বাহিনীতে,
কে সইবে তাঁর এমন তুঘলকিয়ানা রোষ?


নচিকেতা চুপ করেছে, মুখে এঁটেছে কুলুপ।
অন্যান্য সব বুদ্ধিজীবীও আজকে দেখি চুপ।
কোথায় গেলো তাদের সেই বুদ্ধিমত্তার দম্ভ?
নাকি চুপ করেই বুদ্ধিমানের দেখাচ্ছেন স্বরূপ!


অ্যাকাউন্ট আমার গর্তে যাবে। যাক তবে তা।
বাংলা যার জন্য সেরা, চাইবো বরাবর।
মায়ের উপর মেয়ের উপর শ্রদ্ধা যেমন করি,
খর্গ হাতে চাইছি কালি নাশুক বর্বর!


নারী যখন নারীত্বের স্বাদ ভুলে যায়...
প্রতিনিধিত্ব যতই করুক, শ্রদ্ধা চুলোয় যায়
বাংলার মেয়ে বাংলার মেয়েকেই অপবাদে বাদে
এমন মেয়ে চাইনা আমার... লিখছি প্রতিবাদে।


“ক্রন্দনরতা জননীর পাশে / এখন যদি না থাকি
তবে কেন এ লেখা, কেন গান গাওয়া / কেন তবে আঁকাআঁকি?"
বিদ্রোহে তাই ফুঁসছে মন, দেহ জ্বলছে রাগে...
আমার কবিতা “আমার বারুদ / বিস্ফোরণের আগে।”



*শ্রদ্ধেয় কবি মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতা থেকে কয়েকটা লাইন গৃহীত হয়েছে।