জানিনা!
তোমার কাছ অবধি এটা পৌঁছাবে কি না!
তবু লেখার ইচ্ছে হলো।
তোমায় নিয়ে দু-এক কথা, মনের ব্যথা,
সুখ দুঃখের চোখের জলে।


আসলে,
প্রেমের প্রস্তাব দেবো দেবো।
তবু পারিনি।
পারিনি সেদিন।
নিজের দন্দে বাধা পেয়ে চুপ ছিলাম।


ভালোবেসেছিলাম।
আজও ভালোবেসে তোমাকে,
মনের মধ্যে গল্প লিখি;
প্রতিটা গানের মাঝে সুর-লয় হয়ে,
তোমার কথা যায় ভেসে।
তবুও বলা হয়ে ওঠেনি!


কভু জ্বলন্ত নিকোটিনে তোমার বাধা-নিষেধ শুনতে পাই;
তোমার স্বল্প স্পর্শ চাই।
সে চাওয়া, চাওয়ায় থেকে যায়;
পাওয়া হয়ে ওঠেনি!


দিনক্ষণ মনে নেই অতশত।
দামামার সুর হৃদয় জুড়ে জানান দেয় প্রেমের ক্ষত।
সে ক্ষত তোমার চোখে কভু আসবে না।
আসবে না জানি।
কারণ,
প্রতিটা চিহ্নের তোমার প্রেমের স্পর্শের ভাগ্য জোটেনি।
এতটা সৌভাগ্য আমার হয়ে ওঠেনি।


তবুও!
দিয়ে গেছি প্রশ্রয়।
প্রথম দেখার প্রথম অক্ষিমিলন থেকে,
প্রথম কথা বলার রেশে,
শুধু ভালোবেসে,
ভালোবাসাটাকে।
যার প্রতিদান পাওয়া হয়নি।
কারণ, প্রতিদান চাওয়া হয়ে ওঠেনি!


ভালোবাসি!
অশ্রুজলে ভাসায়ে প্রেমের তরী,
পৌঁছাবো তব মনের অট্টালিকায়।
দ্বাররক্ষীর বাধা অমান্য করে,
ধাক্কা দেবো অন্তঃপুরে।
হয়তো হরণ করে আনতে পারি আপন কুটিরে!
হয়তো!
কারণ, আমার এত সাহস হয়ে ওঠেনি!


শুধু,
ঠোঁটে মুচকি হাসি দিয়ে,
ফিরে আসার ভাবনায়,
চোখ নামিয়ে বলে যাবো,
"মোর কুটিরের রাণী করে নিয়ে যাবো।"
কারণ, ভালোবেসেছি।
শুধু এতদিন তার প্রস্তাব দিয়ে ওঠা হয়নি।


আমি ভালোবাসি!
আর ভালোবেসে যাবো আমরণ।
তোমার নামের রুদ্রাক্ষে ভরাবো এ কান্তি।
আর কলমের কালিশেষে এই পত্রখানি
দিলাম তোমায়,
যা এতদিন দেওয়া হয়নি।
দেওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি।


-- কলমে কান্তি