যাদের দেখে আমার এই কাব্য জগতে আসা,
যাদের লেখা পড়লে মন এমনিই বলে খাসা,
তাদের মধ্যে তুমি একজন সেরার সেরা গুরু,
নজরুলের কবিতা পড়েই, বিদ্রোহী হওয়া শুরু।


বিদ্রোহী সুর উঠে লেখায়, কণ্ঠে বাজে জয় গান,
নজরুলের লেখা পড়েই বাড়ে মাটির প্রতি টান;
একই বৃন্তে দুটি কুসুম যেমন হিন্দু মুসলমান,
তেমন বাংলার চোখে রবি ঠাকুর, নজরুল ইসলাম।


গুরু তোমার প্রতিটা লেখায় সাম্যের বাণী শুনি,
তোমার লেখা শ্যামাসঙ্গীত যেন অমৃত ভরা ধ্বনি,
তোমার লেখা বিদ্রোহী গানে বিদ্রোহ জাগে প্রাণে,
কুলিমজুরদের নিয়ে লেখা তাদের কাছে টানে।


যতই ফ্যান্টাসি থাকুক তোমার কলম ঝরে,
তোমার বিদ্রোহী আর সাম্যের গান সেরা।
কেমন করে গুরু বেঁধেছ এ কঠিন সুরে,
বুঝবে না সবাই, বুঝবে না আজকের মানুষেরা।


ইচ্ছেটুকুর জন্য তোমায় নিয়ে লিখতে বসা,
তোমায় নিয়ে ভাবতে থাকি যেমন দিনরাত–
রাস্তায় থাকা মানুষদের নিয়ে লিখে যাবো আরো,
যদি মাথায় থাকে গুরু তোমার আশীর্বাদ।


গুরু জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি দি রাতুল চরণে,
আশীষ নিতে মরিয়া অধম এই ভক্ত।
বিদ্রোহী হয়ে ওঠা সহজ হলেও হবে
কিন্তু বিদ্রোহী নজরুল হয়ে ওঠা বেশ শক্ত!