বাঙলার রূপ বলিব কি -
ভাষা যে নাই আর,
জগন্মাতার আলো করা
সাজানো সংসার।


আষাঢ় মাসে ট্রেনে করে
ফিরছি আমি ঘরে,
মেঘ-রোদের খেলা দেখে
মনটা গেছে ভরে।


বৃষ্টি-স্নাত শ্যামল-সবুজ
গালিচাখান পাতা,
হেলেদুলে চলে রাখাল
মাথায় দিয়ে ছাতা।


মেঘের অন্ধকারের মাঝে
শালুক ফোটে জলে,
বৃষ্টি-ভয়ে ভীত গরু
বট-বৃক্ষ-মূলে।


শালিক পাখি পাল্লা যে দেয়
রেলগাড়ির সাথে,
খানিক পরে হাঁফায় ভারী
ফেরে আপন পথে।


মহিষগণে গোঁতাগুঁতি
করে কাদা মেখে,
হাততালি দেয় ন্যাংটা পোলা
সেই দৃশ্য দেখে।


ছাগল-ছানা লাফায় খালি
লেজটি নেড়ে নেড়ে,
আলের পরে বকের সারি
বসে চুপটি করে।


হাল চালিয়ে যায় রে চাষা
ক্লান্তি গেছে ভুলে,
বলদ জোড়ার মুখটি বাঁধা
বাধ্য হয়ে চলে।


হাঁসের দলের হল যে স্নান
মুখটি গুঁজে বসে,
করছে কত গল্পকথা
জমিয়ে রসে-বশে।


চারিধারে এত খুশি
দিলে মাগো ভরে,
আমার প্রাণে তার এককণা
দাও না দয়া করে।।