খুঁজে খুঁজে গুরু একটা
লভিয়াছি ভাই,
তাহার-আমার দু-চার কথা
শুনাইয়া যাই।


ভেবেছিলাম বাড়ি-গাড়ি
হবে গুরু ধরে,
সুখী হবে গৃহ-কন্যা
দীক্ষা নিলে পরে।


সেই আশাতে গুরুর নিকট
চুপিসাড়ে যাই,
কিন্তু তিনি সব আশাতে
ঢেলে দিলেন ছাই।


দীক্ষা নিয়ে মন্ত্র জপি
কভু মনে মনে,
কে জানিতো কি আছে
তেনার মনের কোণে।


গভীর জলের মৎস্য তিনি
দেখিতে না পাই,
জপে জপে গলা শুকায়
জল দিয়ে ভিজাই।


মনে হয় আগেই বোধহয়
ছিলাম ভালো বেশ,
হেঁসে-কেঁদে দিনগুলো যে
হত তখন শেষ।


হাসি ভুলে এখন কেঁদে
দুচোখ ভাসাই,
কভু রেগে মনে হয়
বেশ করে পিটাই।


মারিতে পারিনা শুধু
নিষ্ফল প্রয়াস,
প্রতিপক্ষ ভারী ভীষণ
বুঝিয়া হতাশ।


বলবো কি আর, বুকের উপর
লাঙল চালায় ভাই,
কি জানি কি বীজ পুঁতিবে
আমার চিন্তা নাই।।