মধুরিমার মধু খেতে চাইছে মধুকর,
স্বপন জড়িমা ঘেরে গুনিছে প্রহর।


জীবনের কৈশোরে যবে ফুটেছিল কলি,
মাতাল করা সুবাসে তার এসেছিল অলি।


অতঃপরে প্রেমসাগরে ডুব দিছিল তারা,
রবি-শশী সাক্ষী ছিল, হয়ে পলকহারা।


মনের সাথে মন মিশিয়ে খেলেছিল হোলি,
ভালোবাসায় হয়ে পাগল সবকিছু ভুলি।


গগনেতে রামধনু সাতটি রঙে রেঙে,
আশীর্বাদ করেছিল পাগল-প্রেমিক দোঁহে।


হটাৎ সকল আঁধার করে ঘনায় ঘনঘটা,
শয়তানের বক্র দৃষ্টি মারে তীব্র ঝটা।


গ্রহের ফেরে আহত সেই কপোত-কপোতী
গভীর বেদনা লুকায়ে বুকে, জাগে কালরাতি।


আজি প্রভুর দয়ায় বুঝি কাটিল সেই যাম,
মুর্ছিত ওই তরুর বক্ষে সবুজের প্রণাম।


উত্তল রবি রাঙা সাজে মাতিল বসুধা,
কোকিল গেয়ে ভুলিয়ে দিল অতৃপ্ত ক্ষুধা।


নতুন দৃষ্টি, নতুন দৃশ্য, চিরনতুন প্রেম,
এস প্রিয় নব রূপে বরিয়া লইলেম।


এই বরণে সবার সাথে মিশে চলার রেশ,
কোথায় তুমি, কোথায় আমি, হারিয়ে যাওয়ার দেশ।


তোমার সাথে মিশে ওগো, হারিয়ে যেতে চাই,
মধুরিমার সেই সে মধু, হারিয়ে যেন পাই।


সেই পাওয়াই পরম পাওয়া, জানে আমার মন,
কিছুই যে আজ বাঁধ মানেনা, অধৈর্য্য কালীচরণ।।