ও আমার মনপাখিরে কেন মরিস শুধু ঘুরে ঘুরে
যোগ-সাধন কথা শুনবি যদি ক্ষণিক বোস হেথা ধৈর্য্য ধরে।
দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণে সকল চঞ্চলতা নিরসনে
নিজেরই এই দেহাঙ্গনে মন স্থির কর সন্তর্পণে
যাতে জড় ভ্রমি দেহটারে পক্ষী বসে তার উপরে।
মনস্থির করার তরে ছেড়ে দাও ভোলা মনটারে
তুমি দেখো চুপটি করে কোথা কোথা সে যেতে পারে
মাসাবধি কাল গত হলে ইচ্ছাশক্তি তারে নিথর করে।
মন-তরঙ্গ শান্ত করে এবার চল ধীরে ধীরে
আপনদেহের সক্তিসকল পরিচালনা করার তরে
প্রাণায়াম তার প্রথম সোপান কর অতি যত্ন ভরে।
পূরক, কুম্ভক ও রেচকের ক্ষণে জপ প্রণব মন্ত্র একমনে
মেরুদন্ডের বামদিকে দেখো সর্প ঘুমায় ত্রিকোণেতে
প্রাণায়াম তার ভাঙ্গায় ঘুম টেনে তোলে স্নাযুদন্ড ধরে।
প্রাণায়াম করা শেষ হলে মনের সকল দ্বার বন্ধ করে
ধ্যান করার প্রাক্কালে স্মরণ কোরো জগৎপালকেরে
পরে স্নাযুদন্ড সোজা রেখে পুনঃ স্থির করো মনটারে।
নিজ ইচ্ছাশক্তি বলে দুই ভুরুর মধ্যস্থলে
চালনা করো রে মন জানা-অজানার পারে
কতরকম আজব জিনিস দেখবি রে মন থরে থরে।
ক্রমে ক্রমে এই প্রকারে মূলাধার থেকে সহস্রারে
কুলকুন্ডলিনী করবে গমন মিলন হবে দোহাঁরে
সেই ক্ষণে বুঝবি রে মন কত ধানে কত চাল বাড়ে।
কালিচরণ বলে," দুকলিতে সকল কথা
কভু কি কেউ বলিতে পারে
সুধু ধৈর্য্য বিনা সিদ্ধি হয় না
জনম জনম চাকা ঘোরে।।