ঝরাপাতা – ১
সকালের শাদা রোদ
সতেজ সজাগ হোক।
মুক্তিপাক সকল বোধ
খুলে যাক আবদ্ধ সুখ।


ঝরাপাতা - ২
নৌকা-নদী জল-স্রোতে হাত ডুবিয়ে ভাসছি
সবুজে প্রাণের ছোয়া তোমার পরশে আছি।


ঝরাপাতা - ৩
ইচ্ছেপূরণ - আগুন রাঙা আপেল তোমার হাতে
প্রেম, প্রাচূর্য, পরাক্রম - ত্রিদেবী; তুমি কারে দিলে?
যদি চাও প্রেম, অভাব - অবহেলা রবে পিছু চিরকাল।


ঝরাপাতা - ৪
কথার কথা
না যায় বলা
যথা তথা
না যায় চলা।
আঘাত ব্যঘাত
তাহার প্রতাপ,
যাহা কথা
তাহাই সংলাপ।


ঝরাপাতা - ৫
এক আলোকবর্ষ দূরেও যদি যাবে!
আকাশ প্রদীপ আলো তবুও জ্বলবে।
আলো তার যদি পড়ে তোমার চোখে,
দেখবে আমায় তোমার অন্তর সুখে।


ঝরাপাতা - ৬
ভাব, ভাবা প্র্যাকটিস করো!
ভাবতে, ভাবতে খুলে দেও সব বন্ধ দুয়ার
মেলে দেও পাখা, দেশ দেশান্তরের
নেই বাধা কোনও সীমান্তের
নিষ্প্রয়োজন পাসপোর্ট পারমিশন ভিসার।
ভাব, ভাবা প্র্যাকটিস করো!


ঝরাপাতা – ৭
শৈশবের রাস্তায় খুঁজে ফিরি ঠোঁটে লেগে থাকা স্বাদ
ফেরীয়ওলার প্রলম্বিত হাক, ক্রমাগত হাত ঘন্টার ডাক।
মূল্যহীন পুরানো পন্য বিনিময়ে আইসক্রিম দেলবাহার
স্রোত পেরিয়ে স্রোতে পিছন জীবনে বৃথা চেষ্টা ফেরার।


ঝরাপাতা – ৮
এসো, যায়গা করেছি আকাশ দেয়ালের ঘরে
শুধু তুমি, আমি আর সে; মেঘের সাথে ভেসে ভেসে
কথা হবে পৃথিবীর সকল প্রান্তের ব্যথা রোমন্থনে।
আমরা কজন সুখের হাওয়ায় দম ভরে জাগব শিহরণে
উদবিঘ্নতারে হাতছানি দিয়ে বিদায় জানাব মনে প্রাণে।


ঝরাপাতা – ৯
তুই তো আমার গাংচিল, আর আমি তোর বহতা নদী
মনে চাইলে ঠোকর দিবি, আবার উড়ে এসে জল খাবি।
আমারে ছাড়া তোর চলবে না, আমার উপরে বাঁচা
আর আমার উপরেই তোর পাখা মেলে উড়ে চলা


ঝরাপাতা – ১০
শীতে নিরব প্রশান্ত রাত
বাক্য পেল দেহের প্রকাশ।
স্বর্ন কুন্দ গন্ধ রস
নক্ষত্র লক্ষ্যে
শীতে নিরব শান্ত মাস।
শিশু যীশু এস তুমি
বদ্ধ হৃদয় দিও চুমি।


ঝরাপাতা – ১১
পলি মাটির বঙ্গোপ স্রোতে
মোংলা জলের গন্ধ সুখে,
ভালবাসার লবন বাতাস মুখে;
আমি তৃপ্ত এ জীবন স্বাদে।


ঝরাপাতা – ১২
প্রভু প্রজ্ঞা চাই, আর কিছু নয়
যেন বুঝতে পারি নিয়ত তোমায়।


ঝরাপাতা – ১৩
সবুজের ঘাসে, খালি পায়ের সতেজ ছোয়ায়
খোলা আকাশ, লুকায়িত ঘ্রান প্রকৃতির বাতাসে
নির্ভীক আমি, অক্সিজেনের স্রোতে আছি ভেসে।


ঝরাপাতা – ১৪
যাচ্ছি কালের হাত ধরে, তোমার হাত ধরে
জীবনানন্দের বনলতা, সুরঞ্জনা হাত তুলে ডাকে
তবুও যাচ্ছি তোমার সাথে, বাক্সবন্দী আমি
ঘুম থেকে উঠে, সকাল থেকে সন্ধ্যা, বাক্স থেকে বাক্সে।


ঝরা পাতা – ১৫
করেছি বাইরে অনেক ঘুরাঘুরি, ভিতরে ঢুকিনি।
নিজের চেহারাটা, আজও আমায় চিনতে পারেনি।
অপরিচিতজন মুখ ছবি নিয়ে তাই ঘুরে ফিরছি সারাদিন ।
তুমি নিজেই নিজেকে পছন্দ করো না
কেন তবে আশা করো সে তোমার হবে?


ঝরা পাতা – ১৬
প্রেম থাক তুমি বাঁধানো ফ্রেমে
রেখ না আমায় কভু তোমার চিন্তার বাইরে
সুখ সে তো শুধু তোমাপানে চেয়ে।


ঝরা পাতা – ১৭
আকাশে রাতের চাঁদকে দেখে যদি বলো সূর্য
ভুল বুঝে হেরে গেলে পরিক্ষায় তোমার ধৈর্য্য।


ঝরা পাতা – ১৮
সবুজ স্রোতের টানে
নদী পলির ঘ্রাণে,
ফুল পাখিদের গানে
স্বাধীন সম্মিলনে
তুমি আমার প্রাণে।


ঝরা পাতা – ১৯
যখন এমন হয়
জীবনকে মনে হয় অর্ধেক খালি।
তখন তোমাকে ডাকি.....
তুমি থাকলে আকাশ পারে,
পারলে না ভরে দিতে বাকি অর্ধেক থলি।


ঝরা পাতা – ২০
মনে হাতুড়ির জোর দরকার
আঘাতে দুশ্চিন্তা - উৎকন্ঠা চুরমার!
হৃদয় পালে হাওয়াই স্রোতে ভাসবার।


ঝরা পাতা – ২১
বসন্ত আসে বসন্ত যায়
ফাগুন হাওয়ায় আগুন জাগায়
বুকের মাঝে হৃদয় পোড়ায়।


ঝরা পাতা – ২২
মনের বসন্ত মেলেছে পাখা
দূষণ প্রকৃতি ফাগুন হারা।
উৎসব আনন্দে ঘরে ফেরা
পাখীদের হৃদয়ে বসন্ত খরা।


ঝরা পাতা – ২৩
আশ্চর্য ঘরে ফেরার উৎসবে
শব যাত্রায় বাকীরা দিশাহারা


ঝরা পাতা – ২৪
আঁধারে হাত পেতে খালি হাত তোমায় ফিরাবে
আলোতে হাত পেতে অপমান তোমায় কাঁদাবে।


ঝরা পাতা – ২৫
তোমার মস্তক তাজে
শক্তির আধার নাচে।
সূর্যেররশ্মি আছড়ে পড়ে
ঢেউর মত সমুদ্র পাড়ে।


ঝরা পাতা – ২৬
যত পার কয়লা ঢালো জ্বালাতে পোড়ামনের এ আগুন
আলোর লোভে - চোখের জলে নিভাতে চাই না যখন।


ঝরা পাতা – ২৭
ও পরদেশী, ব্যস্ততায় পরাধীন তুমি ও তোমার সময়,
বাইরে জগত থেকে বের হয়ে কবে তুমি তোমার হবে?
জীবনক্ষন বয়ে চলে যায় নদীর স্রোতের মত
পাবে না সময় আর, উপভোগ কর তোমায়।


ঝরা পাতা – ২৮
তোমার আমার আকাশে যতই হোক না রঙ ফ্যাকাসে
একচিলতে রোদ্দুরই শুধু পারে খাওতে সবুজ পাতাকে।
দূর উচুতে পাখা মেলে দিলে একা ভাল লাগে না বলো কার একসাথে?
একা থাকার উপায় নেই,
একা থাকতে ভয় লাগে।
তাই ঘুমেরে তোমার সাথে আমার এই উড়ে বেড়ানো...।


ঝরা পাতা – ২৯
গাছেরা স্বস্তি পেল শুনে
কবিতার পাতা ফেসবুকে।


ঝরা পাতা – ৩০
ভাল থাক তুমি তোমার স্বর্গপূরে
আমার ভাললাগা থাকুক বহুদূরে


ঝরা পাতা – ৩১
এক সহস্র সুখসমুদ্র স্রোতে
আমি নদী তীরে কুলহারা।



ঝরা পাতা – ৩২
তুমি শীতল হতে চেয়ে
সুখ রোদে শরীর ভিজালে।
গ্রীষ্মের দাবদাহ খরতাপের কাছে হেরে
উলংগ শীতে কষ্ট পেলে।


ঝরা পাতা – ৩৩
আঁধারে আলোক রশ্মি চমকায়
আঁধার বিনা -
আলোক সত্ত্বা ভালবাসা হারায়!


ঝরা পাতা – ৩৪
সময় ছুটে পালায় -
তবু আমি তোমার অপেক্ষায়,
শীতের উত্তাপ হয়ে আসবে বলে -
কোনো কষ্ট রাখেনি হৃদয়!


ঝরা পাতা – ৩৫
নদীর স্রোতের পোতাশ্রয়ে, গোলপাতা ঘর বাধার আশায়
আর কতকাল রইব আমি বুক বেধেঁ তোমার অপেক্ষায়?


ঝরা পাতা – ৩৬
নৌকা, আমি নদী প্রেমে মশগুল
বুকে সবুজের স্রোতে বিহ্বল।


ঝরা পাতা – ৩৭
তুমি এলে এ মাটির পরে
মহারাজা প্রনাম তোমারে।
শীতের সকালে শিশির কনা হাসে
প্রেমে প্রেমে মানবজাতি উল্লাসে।
মানব কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ
ঐশ রাজ্য চেষ্টায় এ জীবন।


ঝরা পাতা – ৩৮
এক ক্লিকে তুমি পার উল্টেপাল্টে দিতে
এই ফ্লিংসটা আমার যেন ভিতর আছে
দয়াময় - জীবনদেবতা,
আমি জানি তুমি যা চাও পার করতে।


ঝরা পাতা – ৩৯
তোমায় দেখে মনে পড়ে
শালিক হয়ে ফিরে এলে।


ঝরা পাতা – ৪০
না ধিন তা, তেটে তিন তাক
দিন যাপন মুক্তি পাক।
তা ধিন ধিন, না ধিন তা
কষ্ট বৃষ্টিতে ধুয়ে যা।
তেটে তাক ধিন, তিন তিন ধা
মনের সুখে উড়ে বেড়া।


ঝরা পাতা – ৪১
স্থান কাল পাত্র ভেদে বিন্দু আমি
কোন্ কালে কে সে দাড়িয়ে আছি?
জীবন ভূমে খুজে ফিরি জীবন স্বামী!
গ্রহাণু সব এক বিন্দুতে মিলিত রুপ
ক্ষন কাল জিবত্ কাল সত্য খুব
মায়াজাল ডুব দিলে সব মিথ্যা কূপ।


ঝরা পাতা – ৪২
ইট পাথরের ধুলো ফ্যকাশে আকাশ দেখে দেখে ক্লান্ত চোখ
চেয়ে চেয়ে শুকিয়ে কাঠ, আর ভিজতে পারে না নিজে নিজে।
এ শুষ্ক চোখ বিশ্রাম চায়, হাজার রাতের ঘুমে যা প্রায় অসম্ভব
চির সবুজে ডুবে অপলক চোখে চেয়ে মেটাতে চায় তার অভাব।


ঝরা পাতা – ৪৩
জয় জয়কর তবু ভয় পিছু রয়
অচেনা মাঝে ধুলো অন্ধকারময়।
ক্ষয় যদি নিজমধ্যে রাখ ভয়
নির্ভিক হও জেন জয় নিশ্চয়।
সুন্দর হও, সুন্দর হও, সুন্দর হও।


ঝরা পাতা – ৪৪
তোমার হাওয়ায় পরশ ছোয়া
আমার চলা জীবন দোলা।
মাঝে মাঝে একটু দেখা
তুমি আমি বন্ধু সখা
সুখ প্রশান্তি ভেসে চলা।


ঝরা পাতা – ৪৫
প্রখর রৌদ্রে টিপটিপ বৃষ্টি পায়ে হেঁটে
সমুদ্রের কাছে ধারে এক বর্ষামেঘ চেয়ে
রুপে প্রকৃতি তোমায় আমায় মায়াময়
ধুসর মাঝে এক ফোটা সবুজ পরিচয়।


ঝরা পাতা – ৪৬
নষ্ট জীবন ভর করে সমাজ থেকে কেউ যদি ছিটকে পড়ে
পাশে যে তার যে বসে
কে ডরায় সে বসে বসুক।


ঝরা পাতা – ৪৭
আমার আকাশ মেঘের ডানা
সুখ জানালায় দমকা হাওয়া।
কষ্ট ধোয়া পরশ ছোয়া
পাতায় পাতায় গাছের ছায়া।
সুখ ছাউনি রোদের খেলা
পাখীর ডানায় সবুজ মেলা।


ঝরা পাতা – ৪৮
২৩ কেজি পাতায় দিনে ৮৫ টাকা
পেটে বড় জ্বালা -
রে ভাই পেটে বড় জ্বালা
প্রতি কেজি কমে আবার ৩ টাকা কাটা।
একটি কুড়ি দুটি পাতা
উন্নয়নের এ পাহড় বেয়ে
তোমার নীচে নামা।


ঝরা পাতা – ৪৯
একটা অপেক্ষার সাথে দেখা হয়ে গেল
বহু বছর পর।
এক আকাশ নীল রোদ্দুর নিয়ে
সবুজ পাতার ফাঁকেফাঁকে রুপালী আলোর ঝিলিক।
চিঁ.. করে ডেকে যাওয়া ঝিঁঝিঁ পোকার
মাতাল করা বনভুমি
একটা অপেক্ষা
আমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে একা।


ঝরা পাতা – ৫০
তুমি ভাবছ বসে আছ মাটি কামড়ে ধরে
আমি দেখি ঝুলে আছ পৃথিবীউল্টো করে।
যদি চাও সত্য চিনতে বাহির হও দূরে যাও
দৃষ্টি বদলে যাবে যা দেখছ তুমি তোমায়।


ঝরা পাতা – ৫১
জীবন যাপন যাক জমে
যাক ঝুকে এক চুমুকে।
জীবন যাপন যাক পাশে
নিয়ম ছাটা পথ মাঝে।
জীবন যাপন আমি হারা
মানে নেই তোমায় ছাড়া ।


ঝরা পাতা – ৫২
রাজা আসে ধনে মানে
সবুজ পাতায় প্রাণ প্রাণে


ঝরা পাতা – ৫৩
আমরা সকলে এক অভিন্ন প্রকৃতির সন্তান
কে পারে এড়াতে, একে অন্যের দূ:খে কাঁদে না মন?
আমরা সকলে ক্ষনকালের অপরিচিত বহুকালে পরিচিতজন
কে পারে এড়াতে, একে অন্যের সম্মানে আনন্দে উথলে না মন?


ঝরা পাতা – ৫৪
শব্দ পায় না চরণ
অপেক্ষায়.....
তোমায় স্মরণ
কে জানত?
এভাবে আসবো, দেখা হবে
জীবন তোমার সাথে!
অবাক, প্রতিক্ষন মূহুর্তের আবর্তে।


ঝরা পাতা – ৫৫
তুমি মায়ের মতো আদরযত্নে
আলো বাতাসের লালনপালনে


ঝরা পাতা – ৫৬
চোখে বিশ্রাম চাও, সবুজের কাছে যাও
মনে শান্তি চাও, প্রতি মুহুর্তে জীবন্ত হও।


ঝরা পাতা – ৫৭
প্রকৃতি
তুমি চাইলেই যদি নদীজল ঢেউ খেলে
আমি কেমনে চুপ থাকি?
প্রকৃতি
তুমি চাইলেই যদি সবুজ প্রাণ পায়
আমি কেমনে অবুঝ থাকি?
প্রকৃতি!


ঝরা পাতা – ৫৮
তুমি রাখলে থাকব ভেবে কাটালাম অপেক্ষায়
নদী সবুজের হাতছানিতে কালোজল দোলাখায়।।


ঝরা পাতা – ৫৯
একটা মানুষ চাই, মানুষ।।
ফ্রি মানুষ।
তাকে রাখবো আমার ছায়া করে।
বাকিটা সামনাসামনি আলোচনা সাপেক্ষে।
ফ্রীতে চাও পাবে
মানুষ? ভুল ভাবলে
চেখে দেখ, ......কি পেলে?
হুশ হারালেই ফ্রী
বাকিটা
একখন্ড মাংসপিন্ড!!!



ঝরা পাতা – ৬০
অফুরন্ত বিস্তীর্ণ দিগন্ত ঘন সবুজে
বৃষ্টি ফোটা আর গাছের পাতার কথোপকথনে
যে প্রজ্ঞা শিক্ষা
শিখনে অন্তর আত্মা......
এ কে আমি?
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কোন মেলবন্ধনে


ঝরা পাতা – ৬১
বাতাসে কান পেতে আকাশের ঘ্রাণ খুজি
বিশ্বব্রম্মান্ড যে বীণায় সুর ভাসিয়েছে মহাশুণ্যে
কবে পাবে এ বিস্ময় অধরাকে ধরতে?


ঝরা পাতা – ৬২
এত পাই তবু চাই
কেমন আছ? বেচেঁ আছি
ভাল থাকার নেই উপায়।


ঝরা পাতা – ৬৩
নিয়ে নেও সব
সব যা উপার্জন
যৌবন জৌলুশ।
ফিরিয়ে দেও সেই
স্কুল ড্রেস, ক্লাস টিফিন
বন্ধুতা, পবিত্র মন।


ঝরা পাতা – ৬৪
জীবন জীবনে ফল্গুধারার শিকড়ে শিকড়ে যুক্ত
অনুভবে একে অন্যে পৃথিবীর বিষাক্ত কষ্টে মিলিত।


ঝরা পাতা – ৬৫
জীবন যাপন যাক জমে
যাক ঝুকে এক চুমুকে।
জীবন যাপন যাক চেপে
নিয়ম ছাটা পথ মেপে।
জীবন যাপন যাক চুকে
তোমার আমার সুখমুখে।
জীবন যাপন নেই মানে
তোমা হীনা আমায় চিনে।


ঝরা পাতা – ৬৬
আমি এক অপেক্ষার জন্যে বসে আছি
দেখা হবে, কথা হবে, অনন্তকাল
বসে আছি পৃথিবীর বুক ধরে।
সময় পেরোলে যাব অপেক্ষা নিয়ে
অন্য কোনো নাম না জানা জীবন্ত গ্রহে।
অনন্তকাল আমি বেঁচে আছি,
শূন্যে ভরহীন ছুটছি অপেক্ষার পিছে।


ঝরা পাতা – ৬৭
ডুবে যাওয়া সূর্যকে টেনে তোলো,
পাবে আধার জয়ের আনন্দ।


ঝরা পাতা – ৬৮
নবি দায়ুদের তরবারি কাটা চিহ্ন আমার কাছে
কে কার ভয় মাপে, সে যা যে না বুঝে, আমি সেই
তুমি যে ব্যখ্যার মিল খুজে পাওনি এখনো ধরা মাঝে।


ঝরা পাতা – ৬৯
স্তম্ভিত ক্ষনিকের আমি মুহুর্তের অপরিচিতি,
অবিশ্বাস্য জীবন্ত প্রাণে অফুরন্ত অনুভুতি!
..........
..........
সম্বিত ফিরে আবার পুরানো দোলাচালে পিরিতি।


ঝরা পাতা – ৭০
ভাল থাকার ফুরালো আশা
মিছে মিছি নিচে নামা
জটিল কথা ঢেকে রেখে
সহজ করে হলো না বলা।
নিকষ কালো আধার মাঝে
আলাদা করে বাহির ভিতর
মিটালো না প্রশ্নের উত্তর
আমি কে, কে তোমার?


ঝরা পাতা – ৭১
এক একটা দিন নিয়ম করে রাতের আধারে ডুব দিচ্ছে
আর প্রতিটি জীবন কি সহজেই ক্ষয়ে ক্ষয়ে ছোট হচ্ছে।
এ যেন শেকলবাধা পথ
বের হলেই সমুহ বিপদ।


ঝরা পাতা – ৭২
দিনযাপন
আপনমন,
অনেকক্ষন
ভোলামন।
.
চেয়ে আছি সকলে অপলকে নিকটে;
অপেক্ষায় সকালেই মেঘ যাবে কেটে।
.
দিনযাপন
আপনমন,
অল্পক্ষন
খুশীমন।


ঝরা পাতা – ৭৩
যতই বল:
ছাড়ো মোরে তুমি, কালো!
কি, ছাড়াতে পারনি?
জ্বালো, অন্তরে আলো।
দেখবে, সে বিদায় নিবেই
এমনি এমনি।


ঝরা পাতা – ৭৪
অনুভূতির আঙুল আজ ভোতা
বিনিসুতার দুঃখের ব্যথায় বাঁধা।
বুকের মাঝের শিরশিরানির স্রোত
মুঠোফোনে নিচু করা মাথায় রোধ।


ঝরা পাতা – ৭৫
যদি ভাবো, খুজে পাবো না তোমায়,
চলে যাবে, হারিয়ে আঁধারে।
তবু কথা রয়ে যাবে ইথারে
তুমিও পাবে যন্ত্র খুজে পেতে আমারে।


ঝরা পাতা – ৭৬
কথার কথা
না যায় বলা
যথা তথা
না যায় চলা।
আঘাত ব্যঘাত
তাহার প্রতাপ,
যাহা কথা
তাহাই সংলাপ।


ঝরা পাতা – ৭৭
এক আলোকবর্ষ দূরেও যদি যাবে!
আকাশ প্রদিপ আলো তবুও জ্বলবে।
আলো তার যদি পড়ে তোমার চোখে,
দেখবে আমায় তোমার অন্তর সুখে।


ঝরা পাতা – ৭৮
জীবনদীর আলোছায়ায়, সুখ প্রদীপ তুমি কোথায়?
বাস্তবতায় আবদ্ধ আশা, আঁধারে পেতেছি খেলা।
চেতনারে ভর করে, যে আলোশিখা দিলে জ্বেলে,
মনের জানালা তারে, মিছে মরিচিকা ভেবে কাঁদে।


ঝরা পাতা – ৭৯
এক কষ্টকাল অপেক্ষায় তুমি ভিক্ষার ঝুলি হাতে দাঁড়িয়ে,
সভামাঝে চেতনারে পারনি একচুলও নাড়াতে।
স্থিরচিত্রের মত দেয়াল তোমাপানে চেয়ে আছে নিঃস্পলক,
কেঁদেকেটে রেহাই দিয়ে বিদায় নিয়েছি আমি।
তুমি থাক তোমার সিংহাসনপুরে একাকীত্বের গ্লানি আস্ফালন নিয়ে।
আমি এক হৃদয় সুখ বঙ্গোপসাগর সাঁতরে পশুর নদীতে ভেসেভেসে
জীবনের স্বাদস্তনপানে একাকী নিজেই পরিপূর্ণ স্নানে।


ঝরা পাতা – ৮০
এক নদীজল ভাসছ তুমি সাথে দূঃখের লোনা পানি
মাঝে হয়তো এক পশলা মেঘ ভিজিয়ে দিল বর্ষাজলে,
পানীয় জলের তেষ্টা কি তায় মিটে আর অতুষ্টি নিয়ে?


ঝরা পাতা – ৮১
তুমি চাইলেই পারো
মুখ আড়াল করো;
আমি কি আর করি!
তোমায় শুধু খুজি
স্রষ্টা তুমি কোন আবাসে,
আমায় রাখলে দূর প্রবাসে?


ঝরা পাতা – ৮২
তুমি চাইলেই পারো
মুখ আড়াল করো;
আমি কি আর করি!
তোমায় শুধু খুজি
স্রষ্টা তুমি কোন আবাসে,
আমায় রাখলে দূর প্রবাসে?


ঝরা পাতা – ৮৩
সুখে থাকার আশায় ছুটছি মোরা
মিছে কষ্ট দোলায় জীবন দোলনা।
আলো আধারের মায়াময় ছায়ায়,
দুঃখঝড়ে চমকে সুখবিদ্যুৎ মিলায়।
চিন্তারা চায় কথায় স্মরণ
সহজ শব্দে পায় না চরণ
কে জানত?
এভাবে আসবো, দেখা হবে
জীবন তোমার সাথে!
জীবন জী
অবাক, প্রতিক্ষন মূহুর্তের আবর্তে।


ঝরা পাতা – ৮৪
চিনতে নিজেকে
প্রশ্ন কোরো না অন্যকে।
কেন বাহির বাহির করে
মিছে ব্যস্ত থাক?
নিজের ঘরে ঢোক
দেখ তুমি চেষ্টায়
যদি পার চিনতে তোমায়।


তুমি তোমায় চিন না
তবে অন্যকে এ প্রশ্ন কোরোনা
তুমি প্রশ্ন করো তোমায়
অন্যকে নয়।
যদি তুমি চাও জানতে তোমায়
তুমি ঢোকো তোমার ভিতর।


ঝরা পাতা – ৮৫
সুখের পিছু ছুটে ধরা দেয় বেদনা
মিছে কষ্ট দোলায় জীবন দোলনা।
আলো আধারের মায়াময় মোহছায়ায়,
সুখ বিদ্যুৎচমকে দুঃখ ঝড়ে হারায়।


ঝরা পাতা – ৮৬
কেন এত বাহির বাহির কর,
মিছে তুমি তোমায় ভুলে থাক?
যদি চাও চিনতে নিজেকে
প্রশ্ন নয় আর অন্যকে।
নিজের ঘরে ঢোক, মনের আলো জ্বালো
দেখবে, তুমি কে? সে তোমায় বলে দেবে।


ঝরা পাতা – ৮৭
ঘাসের ভিতর সবুজ পাখির বাসা
চোখে আমার নতুন দিনের আশা।
মাটির সাথে পোড়া ইটের আড়ি
দিলাম তোমায় সাত আকাশের বাড়ি।


ঝরা পাতা – ৮৮
তুমি হও
চেতনার হাওয়া ভরা শব্দ, হৃদয়ের আলো।
নইলে,
মহাকাল আধাঁর আকাশের কয়লা কালো।


ঝরা পাতা – ৮৯
আগে কোথাও হয়নি দেখা নয়তো কোনো জানা
চলতি পথে হঠাৎ চকিতে তোমার চোখের কণা,
এক পলকে মনে বলে গেল অনেক দিনের চেনা
অপরিচিতা তুমি পরিচিত মাঝে হবে না আর দেখা।


ঝরা পাতা – ৯০
তোমার বসত আকাশ ছাদে
আমার সাঁতার বাতাস জলে।
জল ফুরালে রাস্তা শুকায়
রক্ত নদী তার পরাণ হারায়।
তোমার দেখা মিলতে পারে বায়ুমণ্ডলে
ভালবাসার শপথ রাখে ভালবাসায়।


ঝরা পাতা – ৯১
মানুষ কাঁদে মানুষই হাসে
দু:খে কবে কার কি যায় আসে।
সৃজনকর্তার সৃজন সুখে
ঝোড়ো হাওয়ায় হৃদয় দোলে।


ঝরা পাতা – ৯২
দক্ষিণ পশ্চিম বুঝি না, ডান বাম উপর নিচ কি তা? আমি দিক শুন্য জ্ঞানহীন।
আমি ও পৃথিবী দুজনেই একা মহাশুন্যে ঝুলে আছি
আর জানি শুধু দুয়ের পার্থক্য: ভিতর বাহির
যা আমার নয় ব্যস্ত শুধু তায়
বাহির বাহির করে আমার ভিতর অচেনায়।


ঝরা পাতা – ৯৩
মুহুর্তে মুহুর্তে বাঁচ
প্রতি মুহুর্ত প্রানবন্ত থাক
ফেলে যাও যা প্রতিক্ষনে অতীত করে
তাতে আর মৃত্যুতে কিসের ফারাক?


ঝরা পাতা – ৯৪
আধারে দেখ না তুমি
হায়রে, আমার কি হলো আমি ত আলোতেও দেখি না
আলোর জোর তোমার উপর চলে না তাইতো তোমায় দেখি
কিন্তু যে আলোতে পরাজিত
তাকে ত দেখা যায় না!
আলোকে আটকে রাখ, তুমি সত্য
আলোকে তোমার শরীরভেদ করে যেতে দাও, তুমি সকলের চোখে মিথ্যা
কিন্তু আমার চোখে অদেখা সত্য।


ঝরা পাতা – ৯৫
বুদ্ধির বর্গাদার
তর্কে তথ্যভার
টেলিভিশন টকশো
আকাশ ফাকা বাণিজ্য
বিরামচিহ্নে বিরতি
মুড়িমুড়কি চা-এ চিনি
শুনেতে শুকিয়ে
ঠান্ডা ট্রে
বিষয় বিধে
ডামাডোলে
আমারা অভাগা
মাঝখানে পড়ে
বিশ্রাম হীন
টেনশনে নেমে
দূ:স্বপ্নে রাত
আধার কাটে।


ঝরা পাতা – ৯৬
তুমি কি জান, কেন সওহরাওরদি উদ্যানে চিল/ শকুন আকাশে সর্বক্ষণ উড়ে
তারা যেতে পারে না দূরে
৭১


ঝরা পাতা – ৯৭
লক্ষ আত্মা একাত্মতা
এক হ্রদয় অনুভুতি
অযুত উপস্থিতি
শান্তি পেয়েছ
শান্ত থাক
নিযুত আনন্দ।


ঝরা পাতা – ৯৮
আমি কোন কাজের না আমি হলো বাজে
নিত্য দিনের কর্মে সার সকাল সন্ধ্যা মাঝে
কবিতা তোমায় দেইনা সময়
বৃথা কাটাই শুধুই কর্মব্যস্ততায়
জীবন কি একটা না কয়েকটায়?
এ প্রশ্ন ঘোরে মাথায়।


ঝরা পাতা – ৯৯
বিষেরও চুমুকে ভরা প্রেমেরও পেয়ালা
দুইটোটে জ্বালা বড় জ্বালা
রুপসী ফাগুন
বুকে শুধু জ্বলে আগুন।


ঝরা পাতা – ১০০
জীবনকে থমকে জীবনের মানে খোজ
বেচে আছ অনুভবে আত্মহারা আনন্দ
কষ্টক্লেশ নিশিদিন
অক্লান্ত নিদ্রাহীন
নিজের কাছে কি তুমি? যদি উত্তর অর্থহীন
থমকে যাও, খুজে পাও নিজেকে
বেচে আছ অনুভবে আত্মহারা আনন্দে।


ঝরা পাতা – ১০১
সবুজের মাঠে বিজয়ের লাল টিপ
বাঙালি জীবনের পথচলার প্রদিপ
যারা একেঁ দিতে দিল আত্মাহুতি
স্মরি তাদের; বিজয় দিবসের প্রণতি।


ঝরা পাতা – ১০২
হীমের শীতে সীমানা পেরিয়ে
গল্পেরা ছুটে চলে
চা-য় কফি, কফি চাই
দোলায় দুলনি খাবি খায়
ছুটি চায় - চায় ছুটি মন।।


ঝরা পাতা – ১০৩
তুমি কি জান, কেন সওহরাওরদি উদ্যানে চিল
শকুন আকাশে সর্বক্ষণ উড়ে
তারা যেতে পারে না দূরে
৭১ এর টানে।


ঝরা পাতা – ১০৪
ইচ্ছে করে নৌকা হয়ে নদীতে ভাসতে
ইচ্ছে করে নীল আকাশে ঘুড়ি হয়ে উড়তে।
ইচ্ছেরা সব হাটে আমার অজানার পথে
ইচ্ছে হলো তোমার মাঝের অচেনাকে চিনতে।
ইচ্ছেরা সব ডানা পেয়ে উড়াল দিল বুঝি
ইচ্ছে হল আমার কাছে তোমার লুকোচুরি।
ইচ্ছেরা সব হাতছানি দেয়া আকাশমেঘরথে
সামনে এগোতে কে যেন আমায় শুধুই পিছু টানে
ফিরে দেখি বাধা আমি সংসার শিকলে মাঝে।


ঝরা পাতা – ১০৫
দিন কাটে আয়োজনে তুমি আসবে তাই ব্যস্তকাজে
তুমি এলে তবু কেন পাইনে তোমায় আমার মাঝে
তোমায় পাইনি বলে রাত অভিমানে
আটকে আছে পথ খুজে না পায়।


ঝরা পাতা – ১০৬
নরম গরম সুখ
কে নয় সর্বভুক?
তুমি আমি সে
প্রকাশ তোমায় আমার মুখ।