রাশি রাশি ফুলে ভরা ফুলশয্যার রাত
ফুলের নাম ভুলে গেছি
ফুলের গন্ধ ভুলে গেছি,
ভুলিনি তোমার ডাগর চোখের ভাষা
তোমার শরীরের মাতাল করা সুঘ্রান
এখনো নাসিকা বেয়ে শরীরে প্রবেশ করে।
জেগে উঠে পুন বাসরের সাধ
তুমি নববধূ হয়ে এসো আমার ঘরে।


ঘোমটা সরিয়ে যখন
তোমায় দেখার পালা
ঠোঁটের কোনে লাজুক হাসিতে তোমার বাঁধা দেয়া।
লজ্জা বিসর্জিত এ আমি
জোরাজুরি করে তোমার লজ্জা ভেঙে দিতে উদ্যত হতেই
তুমি বললে কিসের এত তাড়া?


খানিকটা অভিমান করে বসেছিলাম
তোমার কোমল দুটি হাতে জড়িয়ে
যখন কপলে আঁকলে প্রথম চুম্বন
অমৃতের মত শীতল করে দিয়ে গেছে সে অনুভূতি
অভিমানের বাঁধ ভেঙে গেছে সমুদ্রলহরীর স্রোতে।


সেই থেকে আজ অবধি
শরীরের প্রতিটি লোমকূপ চেনে তোমার স্পর্শ।


কামনার পরাজয়ে উত্তোলিত প্রেমের বিজয় পতাকা আজো উড়ছে সত্য
সংসার দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত।
ভুলে গেছো এ মনের অভিপ্রায়
তোমার প্রেমিকের জ্বালা।


তোমার কালোকেশ যখন আমার সাথে তাল মিলিয়ে
রং পরিবর্তন করে
লুকানো হাসিতে মিলনের খুশিতে আনন্দ অশ্রু ঝরে।
ছেলে-মেয়ে,নাতি-নাতনি সবাইকে নিয়ে বেশ করছো মাতামাতি
এদিকে দুপুরবেলার স্বপ্নে দেখি তোমার-আমার ছাদনা তলার হাতাহাতি।
কথায় কথায় এখন রাগ করনা আর
বুঝেও বোঝ না আমি যে তোমাকে রাগাতে চাই বারবার।


বসন্তের প্রথম বাতাস লাগতেই
যৌবন নেমে আসে দেহমাঝে
তোমার অজ্ঞাতে আবার তোমার মাঝে বিভোর হই
তুমি নববধূ হয়ে এসো আমার ঘরে।