বিজয়ের সুরে শুরু করি,
চারিদিকে উল্লাস মেঘে মেঘে হর্ষধ্বনি বাজে উড়ছে লাল সবুজ
এসেছে বিজয়ের ক্ষণ অগনিত তনু ভেদ করে বাংলার আকাশে।
কতশত মায়ের বুক আজো খালি পড়ে আছে,
প্রতিটা সন্তানের লাশের দাফনে কত মা শশ্মান হয়েছে
তার বর্ণনা কলমে কি লিখব,
আমার প্রান উজাড় করে লেখা
মহাকাব্যের সীমানা দিয়ে এই আত্মত্যাগ আর বেদনার সীমারেখা টানার সাধ্য নেই।


শুধু মায়ের চোখের এই অশ্রু মুছতে মাকে কিছু লিখছি
মা,মাগো!
তুমি শুধু সন্তানের জন্ম দাওনি,
তুমি জন্ম দিয়েছ কালজয়ী বিপ্লব
যার মরণ নেই মা।
অবিনশ্বর এই বিপ্লব,অক্ষয় তোমার সন্তান।
ইতিহাস কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে তোমায়,
যখন বুলেটের আঘাতে তোমার সন্তানেরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে
জানি মা সেদিন তোমার নাড়ীতে টান পড়েছে,
তোমার বুকে বুলেটের ক্ষত হয়েছে।


ধুকে ধুকে মরার আগেও তুমি বিশ্বাস করতে
তোমার সন্তানেরা ফিরে আসবে,
তোমার সন্তানেরা এই বাংলার আকাশে উড়াবে
স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা।
যখন দারিদ্রতা ঘিরে ধরেছিল,
তুমি পারতেনা সন্তানের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দিতে
সেদিনও আঠার ঝোল খাওয়াতে খাওয়াতে
শেখাতে,'জীবনের চেয়ে স্বাধীনতা বড়'।


আদর্শ বিসর্জন দেয়নি তোমার ছেলেরা,
মরণের কাছ থেকে তারা জীবন ছিনিয়ে আনতে জানে
দানবের সাথে তারা বুক ফুলিয়ে যুদ্ধ করতে জানে।
তোমার সন্তানেরা স্বাধীনতা অর্জন করে ঘরে ফিরেছে,
আজো কেন তুমি নির্বাক?মাগো, কেন তোমার চোখের কোনে অশ্রুর ঝরনা?


মা,
তুমি তো স্বাধীনতা চেয়েছিলে,
তাকিয়ে দেখো বাংলার আকাশে স্বাধীনতার সূর্য উঠেছে
তোমার স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি রক্তের ফোয়ারা দিয়ে।
মৃত্যুর ভয় গ্রাস করতে পারেনি কারণ
আমরা জানি,'জীবনের চেয়ে স্বাধীনতা বড়'।
তুমি তো চাইতে তোমার ছেলেরা ইতিহাস গড়বে হবে প্রথম
দেখো মা তোমার ছেলেরা বিশ্বজয়ের ইতিহাস গড়েছে,
মাগো,তোমার ছেলেরা আত্মত্যাগে প্রথম হয়েছে...