একাত্তরের এই দিনে ওরা আমাদের রত্নভান্ডার শেষ করে দিয়েছিল
ওরা ঘৃনিত পশুর দল,
ওরা জানতো বাংলার এই সূর্যসন্তানেরা বেঁচে থাকলে
প্রতিটি হত্যা,প্রতিটি ধর্ষন,প্রতিটি অন্যায়ের বিচার
এসব মহামনবদের কলমের একটা খোঁচায়
কিংবা একটা কবিতার লাইনে,
অথবা একটা গানের কলিতে বেজে উঠত।


যারা পাখির মত গুলি খেয়ে মরে
তাদের শক্তি এমনই হয়,
যারা মাতৃভাষা আর মাতৃভূমির অগ্রে নিজের বুকটা পেতে দেয়
তাদের তেজ এমনই হয়,
যাদের পূর্বপুরুষ বুদ্ধিজীবীদের নামে দিবস পালিত হয়
তারা একএকটা বুদ্ধিজীবী হয়।
তারা কারো রসিকতার ধার ধারেনা
তারা কারো সমলোচনায় থেমে যায়না,
তারা "কবর" রচনা করে কারন মুনীর চৌধুরী কবরে।
না থাকলেও তার দিবসটি আছে
সেখানে লাল কালিতে লেখা আরো কিছু নাম
যারা থাকলে আরো বহু বছর আগে "প্রথম" হতাম,
নোবেলজয়ী হত আমার বাংলা অস্কারজয়ী হতে কোন বাঁধা ছিলনা।


বুদ্ধিজীবি হত্যা করে বাংলার মেরুদন্ড ভাঙতে চেয়েছিলি না!
আরে কুকুরের দল তোরা জানিস না, তোরা জানিস না
আজ প্রতিটি বুদ্ধিজীবির রক্ত কথা বলবে
শুনবিনা তো বুকে পা চেপে ধরে শোনাবো,
শুয়োরের দল কোথায় তোদের আইয়ুব,ইয়াহিয়া
কোথায় তোদের ভুট্টো?
সবকটা বুনো শুয়োর পারলে ঠেকা
আমি বাংলায় বাংলার স্বাধীনতার কবিতা লিখছি।