সাগরপাড়ে দাঁড়িয়ে তুমি
যেন এক আগ্রাসী ঢেউয়ের-
রূপ,অহংকার বালুকনায় মিশিয়ে দিলে
নূপুর পরা পায়ে,
মিটল তোমার তিরিশ বছর আগের বাসরের সাধ।
আমি তো নয়নের তৃষা মিটাই না জলধির জলে
তোমায় দেখি দুচোখ ভরে সাগর দেখার ছলে
যতবার দেখি ততবার শিখি এইবুঝি শুভদৃষ্টি।


তুমি হারালে ঢেউয়ের সাগরে প্রেমে
সূর্যাস্ত দেখবে বলে নিষ্পলক তাকিয়ে আছো পশ্চিমকোনে
পূর্বে দাড়িয়ে যে তোমায় দেখতে চায়
তারে দেখে দিবাকর অবাক!আপন আভা বুঝি অস্তমিত প্রায়।


নেমে আসে সূর্য সাগরের জলে
তোমার মুগ্ধ হওয়ার মুহূর্ত,
যেন প্রথম প্রণয়ে ষোড়শীর উত্তেজনা
প্রথম দেখেছি সেদিন।
লাজুক চোখে চমক দেখে,
আফসোস বাড়িয়ে দেয়া অতীত-
পরিহাসে অট্টহাসি হাসে,যেন আমি এক অবোধ বালক।


চলেছে কি এতকাল ধরে
সেই ছোট বেলার 'বর-বউ' খেলা
বুঝি এসে শেষে হয়ে গেছে অবেলা।
ভালোবেসে যে ভালোবাসা পেলাম না কোনদিন
বিনাশ্রমে সূর্য এসে নিয়ে যায়,তুমি তৃপ্ত সীমাহীন।


প্রাণে জাগে আশ বয়সটা আবার হয় অভদ্র
প্রিয়ে তুমি হও সমুদ্র,
আমি হব তোমার আকাশের সূর্য
সারাদিন শুভদৃষ্টি দূরে দূরে থেকে
সন্ধ্যে হলেই ঠিক ডুব দিব তোমার বুকে।