সেদিন ছিল চৈত্রের শেষবেলা,
আনমনা সৈকতে তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে একাকী,
তোমার এলোচুল তোমার খোলা বিদ্রোহের অশ্রু মুছে দিয়ে যাচ্ছিল।
হ্যাঁ, আমি দেখেছিলাম-
শুনেছিলাম, তোমার ঠোঁট চাপা,  ফুপিয়ে ওঠা কান্নার গুমরানি।
চেয়েছিলে, সব বেদনাকে এক ঢোঁকে গলা বেয়ে নামিয়ে দিতে।
হ্যাঁ, আমি দেখেছি-
আমি দেখেছি তোমার উন্নাসিকতা, তোমার লাগামহীন আবেগ।
পেয়েছি, তোমার চুইয়ে পড়া ভালবাসার গ্লাসে অপ্রেমের মাতোয়ারা গন্ধ।
তুমি, কুয়াশার মত সরে গিয়েছিলে,
তুমি, শিশিরের মত ঝরে গিয়েছিলে,
হারিয়ে ছিল তোমার নুপুরের ছন্দ।
হঠাৎ এসে পড়া এক ঢেউ ভিজিয়ে দিলো তোমার পা দুখানিকে।
তুমি সরিয়ে নিলে পা।
আলতো ছোঁয়ায় সমুদ্র ও কি লজ্জা পেল নাকি?
পায়ে কি যেন ঠেকল তোমার!
ঝিনুক? নাকি শঙ্খ?
শুনেছি, তারা নাকি গল্প বলে যায়!
ফেরি করে বেড়ায় ঘুম ভাঙা স্বপ্ন।
এই যেমন, তুমি।
তেমনই অকথিত কত শত মানুষের কত শত পূর্ণতাহীন স্বপ্ন।
কত হাসির, কত কান্নার স্রোত
বয়ে যায় সমুদ্রের ভেতর দিয়ে রোজ,
চাপা পড়ে যায় কত অভিমানের গর্জন।
ফিসফিস করে বলে যায় তারা
কান পাতো, ঠিক শুনতে পাবে।


সেদিন ছিল চৈত্রের শেষবেলা,
সূর্যাস্তের সাক্ষী ছিলে তুমি।