পড়ন্ত গোধূলিতে ঢাকা পড়ে শহর।
অবসর ভেঙে দাঁড়াই, জানলার পাশে এসে।
হলুদ হয়ে যাই আমি,
হলুদ হয় মন।
ভাবনাদেরও গায়ে হলুদ হয়।
অতীতেরা ভিড় করে সানাই হাতে নিয়ে;
প্রত্যেকের সুর ভিন্ন,
প্রত্যেকের লয় আলাদা।
সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতিরা আমার রোমকূপ বেয়ে,
ঘাম হয়ে ঝরে পড়ে।
সুড়সুড়ি লাগে বড়,
খুব মজা লাগে।


গোধূলি এখন কমলা।
আমার শরীরে এখন নতুন রঙের খেলা।
নতুন রং; নতুন ছবি,
নতুন নতুন কাহিনীতে চলকে ওঠে নতুন কালির আঁচড় ।
সাপ-সিঁড়ি লুডোর মত-
কখনো উঠি, কখনো নামি।
কখনো নাক বরাবর চলি রেললাইনে পা রেখে।
কখনো ঘুরি জিলিপির প্যাঁচ বেয়ে,
ধোঁয়ার অন্তরালে;
পা টিপে টিপে, সন্তর্পণে।
অবাক হই খুব,
বড় আশ্চর্য লাগে।


অজান্তে কখন যেন-
মেঘের আলো রাঙা হয়।
সেই জানলার পাশে আমি একাকী,
মায়াবী আবীর আভা আমাকে গ্রাস করে।
আমি এখন নগ্ন।
আমি উন্মাদ!
চিনতে পারি না নিজেকে।
শরীরকেও বড় অচেনা লাগে।
দূরে দেখি লোকজনের সারি; ভিড় করে আছে।
ফিস্ ফিস্ করছে কেউ, কেউ হাসছে।
কেউ কেউ ছবিও তুলছে।
মনটা মুষড়ে যায় বড়।
খুব খারাপ লাগে।


এরকমই লাগে বুঝি বেলাশেষে
রাঙানো বিকেলে সন্ধ্যা নামে ঝুপ করে।