নীলাকাশ সহসাই গলে গলে জানালায়
জানালা খসে গেছে-রঙিন রঙিন জানালা
হলুদ হয়ে আসা বন হেনেছে আঘাত
স্বপ্নের কোমল দ্বীপে
অতঃপর
সমস্ত নিঃস্ব প্রাণ এসেছে ফিরে
সর্বশেষ নৈশ আয়োজনে
সবগুলো ব্যর্থ সংগীত এসেছে ফিরে-শেষ জলসায়
হাওয়ায় ভাসছে উগ্র মদের ঘ্রাণ
হাওয়ায় কাঁদছে ক্ষয়ে যাওয়া সংগীতের প্রাণ
তখন
পৃথিবীর নির্জনতম একটি পথে
ভেসে ভেসে যায় ধোঁয়ার মেঘ
একে যায় ম্রিয়মাণ রেখা
কম্পমান ছায়া নেয় শূন্যতার ঘ্রাণ
বহুদূর সাগর থেকে বিলাসী পালের জাহাজ
হাওয়ায় হাওয়ায় ছড়ায় সে ঘ্রাণ-  
মনে পড়ে
তোমার বসন শরীর
তুমি এমন করে খুললে বসন!


ঘৃণা হয়!
মোড়ের দেয়ালে তোমার উলঙ্গ শরীর
পোষ্টারে পোষ্টারে হয়েছে নিলাম
বুভুক্ষু শবগুলো সানাই বাজায় আদিম তারে, উষ্ণতায়
বসন তোমার উড়িয়েছো হাওয়ায় হাওয়ায়


কেন!
কেন তুমি অমন করে খুললে বসন
কষ্ট হয়
কাকে দেবো রাত্রির মৌনতায়
সন্ধ্যার সাগর থেকে তুলে আনা রক্তিম রঙ
কার চুলে আনবো আঁধার
শতবর্ষের রুক্ষতায় কোথা থেকে চাইবো শ্রাবণ
তুমি প্রিয় তুমি নারী
তুমি প্রিয় নারী-প্রিয় নারী-নারী
কষ্ট হয়-
বললে যখন কিছু আর নেই বাকি
বলার দেবার
_________________________________


কামাল
খুলনা, ১৭ নভেম্বর ১৯৯১