কেউ বলতে পারিনি
কেউ-সেই কিছু-বলতে পারিনি
না পেরেছি আমি, না তুমি


তুমি-সেই তুমি
অন্ধকার সাঁতরে এসে
নিবিড় মগ্ন কোন একরাতে
জড়িয়ে ধরে তোমায় করুণ দুহাতে
জীবনের দিশা ভেবে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে গলে গলে মোমের মতোন
করেছি সমর্পণ নিজেকে তোমার দুহাতে
যদিও
দু’চোখে আমার পূর্ণিমার ধবল চাঁদ ছিল
রূপালী আলোর বন্যায় আকাশে ভাসছিল
ঘরদোর চৌকাঠ শীর্ণশয্যা
আঙিনার নিপুণ বেড়া
আমাদের বেশবাস, আজন্ম জড়তা
হাওয়ায় উড়ছিল তোমার সাহসী ওড়না
তুমি-সেই তুমি
তুমিও বলতে পারোনি কিছু
সেই কিছু-কাংখিত তৃষ্ণার


মনে পড়ে একদিন রোদেলা দুপুরে
কেমন করুণ হয়ে বসলে তুমি মুখোমুখি
বলছিলে তোমার পবিত্রতার কথা
                     বিশুদ্ধতার কথা-
কি অবাক করা কষ্টের প্রয়োজনহীনতা
তবুও আমি শুনছিলাম
তুমি বলছিলে
আমি অবাক হচ্ছিলাম
তুমি কেমন নরোম হয়ে বলছিলে
আমার বুকের ভিতর অদৃশ্য কিছু কেবলি কাঁপছিল
একসময় তুমি উঠলে  
তোমায় এগিয়ে দিলাম-নির্বাক স্তব্ধ


আমি জিজ্ঞেস করতে পারিনি
যা কিছু ছিল জিজ্ঞেস করবার
                     তোমার বিশুদ্ধতা
                     তোমার পবিত্রতা
আমার বিশ্বাস অবিশ্বাসের কাঠগড়ায় এমন যুক্তকরে-কেন!
অসংখ্য জিজ্ঞাসার অভিমানী উত্থান পতন
আমি কিছুই বলতে পারিনি
পারোনি তুমিও বলতে
কিছু-সেই কিছু
_________________________________


কামাল
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর ১৯৯২