সকালের সোনালী রোদে
যুবতী,
তোমার উজ্জ্বল সানগ্লাসে ডুবে যেতে যেতে
রক্তের ভিতর শুনতে পাই ভাঙন
মৃত্যুর মতো ভাঙন
অণুতে অণুতে নিঃশব্দে নিঃশব্দে


সহসাই দাবানল ঝলসে দ্যায়
আদিগন্ত রঙের আকাশ
আকাশ-রঙের আকাশ
ক্ষত নিয়ে চুপচাপ তলিয়ে যায় অতলে
সাগরে সাগরে
যেটুকু অবশেষ
চেয়ে থাকে ধূসর তামাটে চোখে
যুবতীর উজ্জ্বল সানগ্লাসে
আপন প্রতিবিম্ব দ্যাখে
দ্যাখে ক্লান্ত কঙ্কাল ডানা
যে ডানা ছুঁতে চেয়েছিল সবগুলো মিনারের চূড়া
পারেনি, কেউ কি পেরেছে কখনো


উড়তে উড়তে খসে যায় ডানা থেকে পালক
একটি দুটি অসংখ্য-সব
পালক খসে খসে যায়
পালক খসে খসে পড়ে
নিঃশব্দে ঢেকে দ্যায় কখন-শব
পরিচিত আপন শব
হয়তো শিউরে উঠি হঠাৎ দেখতে পেয়ে


তখন থাকেনা কিছুই আর অবশেষ


যুবতীর উজ্জ্বল চোখের নিচে
যুবতীর উজ্জ্বল সানগ্লাসের নিচে
পড়ে থাকে শব
             শব
             শব
শুভ্র পালক চাদরে ঢাকা


পৃথিবীময় এক বিশাল শ্মশান
_________________________________
কামাল
ঢাকা, ডিসেম্বর ১৯৯২