চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে –
        আমাদেরও চাঁদ উঠত,
        ফুল ফোটা কদম নয় কৃষ্ণচূড়ার তলে
        তুমি অপেক্ষা করতে,
         হাতি- ঘোড়া না নাচলেও – পাঁজরের ভেতরে
হৃৎপিণ্ডের নাচানাচি টের পেতাম – সোনামণি,
তোমার সাথে বে’ টা হয়েই গেল
জ্যোৎস্নার সৌরভ শরীরের প্রতিটি রক্ত কণায়
নাচ  নাচ আর শুধুই নাচ...
সময়ের অন্তরালে
      আমাদের কষ্ট
      ঘোটকের গতিতে,  হস্তিসম বৃহৎ হয়েছে।


তিনটি শালিক ঝগড়া করে –
        আমার নিজস্ব রান্নাঘর নেই, চালও নেই
        দুটো শালিক আছে,
        দিনরাত – রাতদিন
        শুধু ঝগড়া, ঝগড়া আর ঝগড়া....
সোনামণি, তোমার রান্নাঘর  চাল ও ঝগড়ায়
        আমি অবশ্যই দুষ্টু শালিক !


প্যাঁচা কয় প্যাঁচানি, খাসা তোর চ্যাঁচানি –
        আমি চিৎকার করে বলতে পারিনা
        তবে, তোমার গলা শোনে প্রতিবেশী
        আমার রাগ দৃশ্যমান , তোমারটা শ্রব্য
        আমার অঙ্গভঙ্গিতে সারা শরীর কাঁপে
        তোমার  শুধুই ঠোটদুটি
অনুনয় বিনয় ও অভিনয়,  তোমার  চ্যাঁচানির কারণ
প্রতিবেশী বোঝেনা সোনামণি,  তাই আমি ভাল থাকি।

© কমল নুহিয়াল  ১৪/০৯/২০১৫  দুপুর ৩:৫৫