বোশেখ এলে এমন কিছু বাঙালির দেখা মিলে,
শুধু বোশেখেই ওরা; বাঙালিত্বের পেখম মেলে।
রঙ্গিন পাঞ্জাবী,ইলিশ-পান্তা আর ঢোল-তবলা হাতে,
মঙ্গলযাত্রা-বোশেখী মেলায়,মাতে জনতার সাথে।
সারাটা বছর বাঙালি সংস্কৃতির থাকেনা কোন খবর,
অপসংস্কৃতির চর্চায় মেতে, খোঁড়ে বাঙালিত্বের কবর।
ইংরেজী-হিন্দি গানে বুঁদ থাকে, শোনেনা বাংলা গান,
বোশেখ এলেই সেজে-গুজে ধরে; বাঙালিত্বের ভাঁন।
বাংলা নাটক-সিনেমা দেখলেই; নাকটা তারা সিটকায়,
হলিউড-বলিউডের ছবি দেখেই, নিদারুন মজা পায়।
টিভি সিরিয়ালে দেখে সর্বদা; হিন্দি-ইংবেজী সংস্কৃতি,
বোশেখ এলেই উথলে ওঠে বাঙালী সংস্কৃতি-প্রীতি।
মাতৃভাষাটা বাংলা হলেও, চর্চে ভিনদেশী যত ভাষা,
শুদ্ধ বাংলা চর্চা করতে তাদের, সে-কী করুন দশা।
পোশাক-পরিচ্ছদে থাকেনা তাদের বাঙালিত্বের সাজ,
ভিনদেশী পোষাকই তাদের দেহে, করে সর্বদা বিরাজ।
শুধু বোশেখেই উথলে ওঠে বাঙালীত্বের প্রতি ভালোবাসা,
বোশেখে পান্তা-ইলিশ খেয়ে মেটায় বাঙালি সাজার আশা।
মঙ্গলযাত্রা ঢোল-তবলা নিয়ে বাঙালি সাজাটা ওদের অভিনয়,
হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতিকে প্রতিষ্ঠায় করে ওরা বাঙালিত্বের বিনিময়।
বাঙালিদের মূল সংস্কৃতিগুলোর হয়না আজ, সঠিক মূল্যায়ণ,
অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে; বাঙালি সংস্কৃতির হচ্ছে ক্ষতি সাধন।
বোশেখী বাঙালিদের আজ নেইতো কোন অভাব,
প্রকৃত বাঙালী হয়ে গড়ে উঠেই, পরিবর্তন কর স্বভাব।