সময়টা ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সাল,
মানবতার বুকে নেমে এল এক আগ্রাসী কাল!
২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী দুটি গনহত্যার কলংকিত দিন,
ষড়যন্ত্রের করাল গ্রাসে কেড়ে নিল ওরা দেশপ্রেমিকের প্রাণ।
পিলখানায় ঘটে গেল পূর্ব পরিকল্পিত এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ,
ক্ষমতাসীনদের কাছে দিনটা ছিল দারুন উপভোগ্য।
বিডিয়ার বিদ্রোহের আড়ালে চলেছিল ষড়যন্ত্রের গহ্বর,
জওয়ানদের রক্তে হলিখেলায় মেতেছিল কিছু হায়েনার বংশধর।
পিলখানায় বয়ে গেছে তাজা রক্তের সাগর,
রক্ত নেশায় মেতেছিল কিছু ক্ষুধার্ত হাঙ্গর।
দেশকে নিরাপত্তাহীন করার এ এক ভয়াল ষড়যন্ত্র,
প্রতিবেশী দেশের যোগসাজস ছিল,কানে আসে এমন মন্ত্র।
দেশকে অস্থিতিশীল করার এটি ছিল এক হীন প্রয়াস,
শত জওয়ানের জীবন ছিনিয়ে নিয়ে মিটিয়েছে তারা আশ।
দেশপ্রেমিক সেনাদের আগেভাগেই করে দিল ওরা শেষ,
ক্ষমতাটা যেন পাকাপোক্ত হয়, সেদিকেই নজর দিল বেশ।
হত্যাযজ্ঞ শেষে করল ওরা শোকের নিদারুণ অভিনয়,
প্রচার করল বিডিআরদের বিদ্রোহেই এমনটা সংঘটিত হয়।
অথচ বিদ্রোহের অন্তরালে এটা ছিল এক পরিকল্পিত হত্যাকান্ড,
দেশটাকে ওরা বিকিয়ে দিতে চায়,এতটাই ওরা ভন্ড।
হত্যাযজ্ঞ শেষে করল ওরা আবার প্রহসনের বিচার,
বিডিআরকে পুরো নিশ্চিহ্ন করার এ যেন এক চূূড়ান্ত হাঁতিয়ার।
বিডিআর ভেঙ্গে তৈরী করল বিজিবি তার নাম,
পাখির মত সীমান্তহত্যা দেখাই যেন, হল তাদের একমাত্র কাম (কাজ)।
২০১৭ তে আবার করল ওরা,বিতর্কিত সামরীক চুক্তি,
যৌথভাবে প্রশিক্ষণ নিবে, এটাই হলো তাদের খোঁড়া যুক্তি।
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে আগ্রাসীদের এ কেমন হস্তক্ষেপ?
সময় থাকতে হুঁশিয়ার হও, নইলে করবে আক্ষেপ।
সময় এসেছে আবার রুখে দিতে ওদের সব দেশবিরোধী কর্মকান্ড,
জাগ্রত হও হুংকার দাও বাঙালী,থেকোনাকো চোখ-কান করে বন্ধ।
প্রতিবাদ কর সব অবিচারের,দাও সমুচিত জবাব,
স্বাধীনতাটা গড়ে তোল আবার পূর্ণ নিরুপদ্রব।
এভাবে যদি চুপ করে থাক ভবিষ্যত হবে অন্ধকার,
সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে সোনার বাংলা গড়ো আবার।