এক-জীবনের পোড়ার রসদ জমিয়ে নিয়ে
বৈরাগী-মন দিব্যি ছিল নির্বাসনে।
হঠাৎ এসে ভাঙলে আমার মৌনব্রত,
জিয়নকাঠির লাগলো ছোঁয়া মন-শ্মশানে।


বেশ তো ছিলাম জীবন্মৃত একলা একা,
সব পুড়িয়ে সব খুইয়ে সর্বহারা।
অল্প কথার স্বল্প আলাপ -বৃষ্টিজলে
ছাই ভিজিয়ে ফুল ফোটালে -নয়নতারা।


খোলাচুলে পাহাড়তলির মেঘলা শাওন,
চাউনি যেন মাঘী-রোদের ওম মেখেছে।
কাজল চোখে অচিনপুরের মায়ার নেশা,
দুখ্-ভুলানো দখিন-হাওয়া ঘর ভরেছে।


পোড়োবাড়ির আনাচ-কানাচ আলোয় আলো,
চাঁদপানা মুখ আরাত্রিকা মুচকি হাসে।
এবার বোধহয় তলিয়ে যাব অতল তলে,
এরম বুঝি হঠাৎ করেই প্রেম আসে?


****************************