মনে আছে? সেই যে সেবার
সেই শ্রাবণে বৃষ্টি দিনে -
ভিজলে তুমি। ভিজল বেবাক হাসনুহানা ছাদ বাগানে।
ভিজলে তুমি বিকেল বেলা, ভিজলে তুমি ছড়িয়ে দুহাত,
এলোচুলে, গলায়, বুকে - বৃষ্টিজলের গোপন আঁতাত।
বৃষ্টি-সোহাগ ঝুমকোলতায় অপরাজিতায় লুটোপুটি,
আমি সেবার কত্ত খুঁজে ফুল এনেছি - মোরগঝুঁটি।
খোঁপায় তোমার পরিয়ে দেব, ইচ্ছে ছিল এইটুকুনি,
আমার সাধের মোরগঝুঁটি, নয়তো বকুল, নয় কামিনী।


তোমায় সেবার ভিজতে দেখে,
তোলপাড় যেই মনবাগানে,
খোঁপায় যাদের যাওয়ার, তারা ছাদের কোণে নির্বাসনে।
ভেজা হাসির তুষারমোতি, ভেজা আদর কেশরদামে,
বৃষ্টি নামে আলিঙ্গনে, বৃষ্টি নামে ঠোঁটের খামে।
স্বপ্নে দেখা বৃষ্টিপরী, ডুরে শাড়ি, পদ্মাপারে।
সবকিছু তো সত্যি হল বর্ষাকালীন অভিসারে।


থাক সে কথা, তারপরে তো -
অনেক শ্রাবণ পেরিয়ে গেল।
তারপরে তো যৌথ জীবন, রঙ বেরঙের সময় এল।
আর ভিজিনা আগের মত, আর ভিজিনা নতুন করে।
তেমন করে বৃষ্টি বোধহয় আর আসেনা এই শহরে।
এই যে এখন পত্রলেখা তোমার ছোঁওয়ার প্রহর গোনে,
জানাও তাকে, সব ভেজানোর বৃষ্টি তো নেই এই শ্রাবণে।
অনেকগুলো বছর পরেও, বইয়ের ভাঁজে গোলাপ শুকায়,
ভিজব ঠিকই, জানান দিল- মোরগঝুঁটি স্মৃতির পাতায়।


*********************************