থালা ভরা কত মন্ডা মিঠাই লিখেছেন বিধি রিজিকে
দুইগ্রাস ঢোকে খিদের তারণে, বাকি গ্রাস নাহি রোচে।
ঘেন্নামাখা সোনার থালিতে জুটিলে এমন আহাড়
দেখিয়াই তাতে আত্মা ভরিবে সরিবে ক্ষুধার পাহাড়।


বড়বাবু তারে তুলিয়ে আনিছে রাস্তা হইতে মহলে
ঘাসফুল যেন সভা পেল আজি ফুলদানিটির পরে;
প্রতিবেশি শত ভাগ্য দেখিয়া, অবিরত শুধু হিসে্
বড়বাবু তাতে গোলা খাঁকিয়ে- ‘ফিরিস্তা’ যেন সাজে।


ভালোবেসে তারে রাজকাজ দিলে, মাইনে কি আর লাগে?
ধুতি ছেড়ে আজ প্যান্ট পড়েছে, এটাই বা কম কিসে!!!
এমনি করিয়া দূ:খেন বাবুরা সুখেন সাজিয়া রহে…..
অন্ধ সাজিয়া নগ্ন দুনিয়া খুব কাছ থেকে দেখে।


বড়বাবু তারে সবদিলে পাছে, স্বাধীনতা নিলে কেড়ে
মস্তবড় প্রাসাদে দূ:খেন কারাগার ভেবে থাকে,
দূ:খেন বাবুর এমনি দশা, ছিলেনা নিদেন কালে
সাড়াদিন খেটে ডাল-ভাত পেলে তাতেই কত্ত চলে।


শ্মশানের কোনে মরাগাছ যেন দাহ করিবার তরে
শুয়ো পোকা তাতে বাসাবাঁধে কত…. শব পোড়াবার আগে,
তাতেও দূ:খেন প্রাণ খোঁজে ফেরে সজীব কুঁড়ির ভাজে
মরনের তরে জীবন দেখে সুখেন সাজিয়া ভবে।


মরিয়া দু:খেন প্রমান করিলে, বাঁচিয়ে ছিলেম বটে
হারে নাকো ওরা! ভর করে থাকে শত সুখেনের ঘটে।