অ রবী ঠাকুর?
আজ ত তমার জনম দিন বট্যে;
এ্যকটা মালা ত গলে  দ্যিব।
তুমি-ই ত কইয়েছিলে  শত বছর পরে---;
তাই মালা দিলম।
কি সুন্দর লাগছে তমাকে;
কত্ত কবিতা লিখেছ্য বট্যে!
মাথাটি ট্যুক কইরে নত করও তমার পায়ের তলে।
আ হা কি কথা গ্যো কবি?
আমি ও দিলম তমার চরণ তল্যে।


অ রবী ঠাকুর?
তুমি যে ক্যইলে---
অন্ধকারের সৃষ্টি থেকে আলো সৃষ্টি হোক।
হচ্ছে আর কইগ্যো কবি?
আমি ত কিছুই জানত্যে লারি;
দিনে ত আট দশ খান তমার মত কবিতা ও ল্যিখি।
আমি বুড়্যো আঙ্গুল দ্যিলে কবিরা ও দ্যায়
ফন্যে ছেড়্যে দিই--- ফাস্টো হয় বট্যে---।
তবে আমি ত বুঝত্যে লারি,
হাসি পাই বড়।


অ রবী ঠাকুর?
তমার অমিত এখন দুনিয়া কাপাচ্ছ্যে গ্যো কবি।
তব্যে লাব্যণ্য আর কি সব নাম ছ্যিল--
ভ্যুলে গেছি নাম গুলান।
অমিত বেড়ে গ্যাছে গ্যো; মন গুলান ও
সেই রকম লাই আর।
আমি ও ত লাথ খেলম।
উড়বার আকাশ, দিঘ্যি----
এখন কেউ মনে সাঁতার কাট্যে না,
সব উড়ে বেড়ায়।


অ রবী ঠাকুর?
তমার কথা কইতে গ্যেলে ত মরণ চ্যলে আসবেক,
আমাকে ত আবার ল্যিখতে হ্যবে।
বুড়ো আঙ্গুল পাঠাত্যে হব্যে;
কি আর কইব গ্যো?
দশটা পাঠালে দু তিনটে পাঠায় দ্যায়,
পড়ার সময় লাইগ্যো কার ও--
সবাই লিখত্যেই ব্যাস্ত।
আজ অসিগ্যো কবি---আমার পেন্নাম টা লিও গ্যো।