এঁদের নাঁচন প্রথম পর্ব--কবিতা


বোশেখ মাসের দুপুর বেলা;
মাম্-দো দেখি করছে খেলা।
আঁৎকে উঠি যেই না দেখা;
খেলছে দেখি একা একা।


হঠাৎ দেখি হাতটি নাড়ে;
কারে ডাকে নিজের কাছে পুকুর পাড়ে।
আমাকে নাকি! লুকিয়ে দেখি আমি তারে;
গা ছমছম, মাম-তিন দেখি আসছে তেড়ে।


মাম-দো , মাম-তিন খেলছে দেখে;
মাম-চার এলো কোথা থেকে! ওরে বাবা!
তিনজনেতে খেলছে ভালো,
মাম-পাঁচ এসে যোগ দিল; বিকেল হল।


চার জনে তে মজা ভারী;
মাঝেমধ্যে হচ্ছে আড়ি।
খেলাধুলা সব-ই ‌হল,
সবাই বলে 'বাঁড়ি চঁল'।


ক্রমশ----


এঁদের নাঁচন (দ্বিতীয় পর্ব--ক,চ,ট,ত,প কবিতা)



বিকেল বেলায় শাঁকচুন্নী প্রদীপ জ্বালায়;
তাল মিলিয়ে  শাঁককুন্নী শঙ্খ বাজায়,
শাঁকটুন্নী বাজায় মাদল
শাঁকতুন্নী সুর তুলল--
শাঁকপুন্নী গান ধরল।


স্বরলিপির কি-বা বাহার !
বুঝতে পারলে যাবে আহার;
উচ্চারণে দাঁত ভেঙ্গে যায়,
এখন আমি ও বাড়ি যাই।


ক্রমশ---


এঁদের নাঁচন ৩য়/অন্তিম পর্ব--কবিতা স্বরগম)


ক, চ, ট, ত, প পাঁচ পেত্নী;
সবাই দেখি সুরের রানী।
সবাই মিলে গান ধরল,
চার মামেতে সঙ্গ দিল।


স্বরলিপি দিলাম লিখে
অভ্যাস কর ফাঁকে ফাঁকে।
হাঁ     গেঁ    খাঁ      য়াঁঁ    ৎঁ     মি    ঢা   হাঁ


বাপরে মারে! বিকেল বেলা;
নয় ভুতের! একি ঝামেলা?
গা ছমছম! পালা পালা;
কি সুন্দর ক্ষঁনা গঁলা।


দেখে যদি আসবে তেড়ে;
প্রাণটি তখন নেবে কেড়ে।
মনে থাকবে সারাজীবন;
বিকেল বেলা এঁদের নাঁচন।


কখনো যদি বিপদে পড়;
সরগম টা স্মরন কর।
হাঁ     গেঁ    খাঁ      য়াঁঁ     ৎঁ     মি    ঢা     হাঁ
ভুত পেত্নী খুশী হবে;
যা চাইবে তাই পাবে।