কাক ভোর জোৎস্নায়;
যে শরীর ভিজে যায়-
দু জনার ঘামে;
সেই আমি, আমি নই।
কিম্বা; সে ঠাণ্ডা ঘর-
শুষে নেয় সব স্বেদ দুজনার।
মিটে যায় সব খেদ;
পলকের মাঝে-
সে আমি, আমি নয়।
অব্যক্ত সুর পায় প্রাণ;
ঝংকৃত হৃদয় দ্বার-
খোলে যা প্রেমের পরশে;
সে পোড়া কপাল ও নেই আমার!
হিম করা শীত শরীর উষ্ণ হয়-
আবরনে, আভরণে, স্পর্শে,
অহংকারে; কিম্বা আদরে
সে ও নয় আমি!


এ শরীর শীতল কখনো বা ঊষ্ণ;
ঘাম ঝরে হিমেল বাতাসে-
বাতা সেই শুষে নেয়;
যতখানি ক্লেদ, দেহ ভরা স্বেদ।
যত আসে ভাপ, উষ্ণতা যত খানি দেয়।
সুখ দুখ্, স-ব যেন গিয়েছে মিলিয়ে-
জীবনের কঠিন গণিত।
অপ্রাপ্তির বন্ধ খাতা আর কভু-
দেয় নি কো নাড়া; শুধু কর্ম ছাড়া!
সবে বলে আমি নাকি শেষ হয়ে গেছি!
তবু ও যেন খুঁজে পাই প্রাণ;
প্রলাপের মতো নিত্য কর্ম করে-
মনে হয় সব আছে; নই কিছু হারা!
গ্রীষ্মে ও কাঁপি ঠক্ ঠক্ করে-
যেদিন কর্ম হীন; তবু ও শঙ্কা হীন-
আজ নেই কাল হবে;
বাঁচি না সে টুক আশায়!


শরীর কাহিল হয়; আস্বাদন চাই মুখ;
তাই তাদের ও শান্ত করি যখন যা চাই।
জীবনের বহু পথ,যা ছিল শপথ;
পার হয়ে আজ ও কর্ম করে চলি-
যতদিন বাঁচি; না পাওয়া আশায়।
সুখ ও বেদনায়; হাসি কান্নায়!
আপণ হয়েছে পর; তার কর্মফল!
আমি দায়ী নয়।
সব দুখ্ সেঁচে আজ ও কর্মে অটল।
সে গেছে চলে!
সন্তান? লালন করছে তার ঘর;
আমি ছাড়া, আমার কেউ নেই আর।
খুঁটে খেতে শিখে গেছে সব!
ভুখা পেটে; যৌবনে--- আনতাম টানি-
যেখানে পেতাম যেটুক।
এখন আর কেউ নেই তাড়া করবার;
বেশ ভালো আছি আমি।
একা বৃদ্ধা এক।