এক নারী আর এক নারীকে আদর করে-
সে নারী মা ; সে নারী কণ্যা।


এক নারী সারাদিন উপবাস করে,
শিবের মাথায় জল ঢালে। সে যে প্রেয়সী। সে নারী।


সারা বছর সংসার কল্যাণে ব্রতী হয়;
সে কল্যাণীয়া , সে নারী।


গৃহস্থের মঙ্গল কামনায় সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বালায়;
জগজ্জননী। সে নারী।


সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর-
সন্তানের পাশে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে,
শেখায় 'অ' ।
প্রথম বর্ণ শেখানোর প্রাণপন চেষ্টা।
সে প্রথম গুরু , নারী।


দুর্বল-সবল, সৎ-অসৎ, ধনী-গরীব স্বামীর জন্য পথ  
                                     চেয়ে প্রতীক্ষা করে;
সে মানবী, সে নারী।


এক বাড়িতে বড় হয়ে জন্ম দিনে অন্য বাড়িতে কেক
                                                    কাটে;
শ্বশুরের মুখে তুলে দেয়, একরাশ বেদনার ভার
                                              বুকে নিয়ে-
বাপের জন্মদিনের কেকের মিষ্টতা ভুলে,
সব সহ্য করে! সে নারী।


বিপথে যেতে পাঁচবার ভাবে যে পুরুষ;
তার পিছনে লক্ষী। সে নারী।


মা, বোন, স্ত্রী, বন্ধু, সহকর্মী যে কোনো রূপে-
বিপদে পাশে এসে দাঁড়ায়; সে যে নারী।


শ্রম কিম্বা একাগ্রতা প্রতিদান চাই না;
সে নারী।


জমায়েতের দেখানো পথে না গিয়ে;
নিজের পায়ের ছাপ দেখে যে অগ্রসর হয়;
সে মানবী বা দেবী; সে নারী।


পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অবহেলিত;
নিজের চেষ্টায় আধিপত্য বিস্তার করেছে যে-
সে নারী।


ঈশ্বরের সর্বাপেক্ষা সুন্দর সৃষ্টি, পুরুষের অনুপ্রেরণা।
যার হাসিতে পৃথিবী হেসে উর্বর হয়।
সে একমাত্র নারী।


রাজনীতি থেকে খেলা; তুলসী তলা থেকে রান্নাঘর;
আতুড়ঘর থেকে ঠাকুরঘর-
যার পদধূলিতে পৃথিবী রঞ্জিত,
সে আমার আদরের নারী।
                                                    
বিশ্বের সকল নারীর পদধূলিতে স্নাত; আমি লজ্জিত পুরুষ।
তোমার জন্যে আমার জন্ম, তোমার জন্যে আমার
     ‌                                                 কর্ম।
তাই পৃথিবীতে তুমি প্রেয়সী, কণ্যা, ভগিনী, জননী;
তুমি সৃষ্টি, তুমি কল্যাণ কামী নারী।