প্রকৃতি


চলো যাই;
জ্যোৎস্নায়।
ভিজে আসি!


পুরুষ


চুপ চুপ।
থাকো চুপ।
ঘুম থাক। সব থাক নিঃশ্চুপ!


প্রকৃতি


দেখো চেয়ে সরে ঢাকা;
চাঁদ আঁকা।
মেঘ নীল রাশি রাশি।


খুনসুটি;
খেলবে না?
বলো? কেন ভিজবে না?


পুরুষ


চুপ চুপ।
থাকো চুপ।
ঘুম থাক। সব থাক নিঃশ্চুপ!


থাকি সুরে।
থাক দূরে।
সুখ বুক, টানা ভ্রু ;হাসি মুখ।


প্রকৃতি


তার তরে পথ চেয়ে;
আছো বসে।
জা-নো সে তো আসবে না!


পুরুষ


মিলবো না।
কার ও সাথে খেলবো না।
ভালো আর বাসবো না!


প্রকৃতি


জানো না কি?
সে। আ-মি ভেদ নেই।
সব এক। ছেদ নেই!


পুরুষ


সেই সে, সে-ই নেই!
নেই সুখ।
নেই সেই ভালো বাসা বুক।


প্রকৃতি


জানো না কি?
সে। আ-মি সব এক।
ভেদ নেই। ছেদ নেই!


তবে কেন মিছে একা!
একা থাকা?
আমি আছি, আছি সে-ই।


এসো কাছে।
সৃষ্টি যে থেমে আছে!
ভেবে মিছে, লাভ নেই।


পুরুষ


চলে যাও, যাও সরে।
থাকি মনে। থাকি ধ্যানে!
ভুলবো না প্রলোভনে।


যাক সব রসাতলে।
আঁকি বুকি!
সব ফাঁ-কি, সব ফাঁকি।


শুধু মায়া;শুধু মা-য়া!
জড়াবো না, যাব ভুলে;
সব কিছু আলোছায়া।


প্রকৃতি


দেখো চেয়ে।
যা ছিল আছে সব।
শুধু; আছে থেমে কলরব!


পুরুষ


খেলা মিছে, যাও পিছে।
সেই রুপ দেখিও না!
ছলনার ছলনা।


প্রকৃতি


কেন আছো রাগ করে?
থাকে না কি এত দূরে!
কেন তুমি বোঝো না?


কালো মিশ;
ভোমরা রা দেয় শীষ।
তারে আমি চাই না!


পুরুষ


রাগ নেই কোনো মনে;
সে চলে গেছে। কিছু টানে
আর কিছু বুঝবো না।


যাও চলে খুশী যেথা;
বাড়িও না দয়া করে সেই কথা,
সে-ই ব্যথা।


প্রকৃতি


চাই শুধু তোমাকে;
যৌবন ঝলকে।
ছুঁয়ে দেখ। অজানা!


আমি সে--ই।দেখ চেয়ে;
দ্যাখো ছুঁয়ে।
রাগ আর করে না!


পরম ব্রম্ভ


প্রকৃতি রেখেছে টানি ,এ ধরার ভারখানি