একটা স্ট্রেচারে তোলা হল লোকটাকে।
সেটা; তোলা হল গাড়িতে!
বেশ‌ কিছুক্ষণ; গাড়িটা এগিয়ে চলল--
মহা অনন্তের দিকে।
কেউ একজন--
পুরো ঘট নাটা; ক্যামেরা বন্দী করে চলেছেন।
ইমপর্ট্যান্ট মানুষ ছিলেন কি-না তাই।
শ্মশান ঘাট চত্বরে ঢুকল গাড়িটা;
পাঁচ ছ  জন লাইনে;
দাহ করবে!
এত সময় দেওয়া যায় না।
এক ফোন; এক নম্বর লাইন!
পারলে---
যেটা ঢুকে গেছে সেটার ও আগে।
সেটা ফোনে বের করা যাবে না;
তবে---
অর্ধ দগ্ধ করা যেতে ও পারে!
না; হল না।
মেশিন অটোমেটিক হয়ে গেছে এখন।
নির্দিষ্ট সময় পর, আপনা আপনি বন্ধ হবে।
আ-সলে তাড়াহুড়ো তে ভুল হয়ে গেছে সব!
এখানে আসার আগে ফোন করা হয়নি।
অতএব অপেক্ষা এখন ও ৩৩ মিনিট ৭ সেকেন্ড।
তাছাড়া ভেরি ইমপর্ট্যান্ট মানুষ তো ছিলেন না?
যখন দেহ পোড়ার সময়; তখন ও
সুপারিশ!
লোকটার আত্মা এখন আর হম্বিতম্বি করছে না!
হাসছে।
দুঃখের হাসি!
চাপা কান্নার হাসি!
কি করেছি আমি-
কেন?
কার জন্যে?
এবার আমায় মুক্তি দাও।
হে ঈশ্বর!
জীবন থাকতে তোমায় কিছু বলিনি।
কিন্তু --------!
এখন ও ৩৩ মিনিট ৭ সেকেন্ড!
?।