লতা: প্রেম ছাড়াও অরবিন্দু কে পাওয়া যেত কবিতায়।
পাওয়া যেত প্যাডেল ওয়ালা রিক্সায়, হাতে ক্যাসিও ঘড়ি, চুল তার উড়ন্ত বাবরি
অরবিন্দু: আমায় নিয়ে বলছো?
লতা: নাহ, সেই অরবিন্দু আর আজকের অরবিন্দু এক নয়। আমি এক আপনা ভোলা অরবিন্দু কে নিয়ে বলছি। যার হাতে প্রায়শই ছিল ডায়েরির খণ্ড। ছিটেফোঁটা কবিতা আর ঠোঁটে সাহিত্যের ছটা।
অরবিন্দু: আমার কবিতার স্বর্গে, বাসা বাঁধে এক ভিন দেশী পাখি। আমার কবিতায় দেওয়া ছন্দে পতনের আঁচ লাগে চেয়ে চেয়ে দেখি।
ঘড়ির কাঁটা বদলে যেতে শুরু হয়, শুরু হয় এক ভিন্ন জীবন।
লতা: অরবিন্দু, আমার দিকে চাও। আজ কি আর তুমি - বাতাসের গন্ধে কবিতা না পাও?
অরবিন্দু: না লতা, আমি এখন বাতাসে পাই দুর্গন্ধ, আকাশে কালো ধোঁয়া। পাতায় পাতায় দেখি ঘুনে ধরা ছোঁয়া।
লতা: তবে সেই অরবিন্দু বেঁচে নেই। আছে শুধুই আত্মা হীন একটি দেহ, সে দেহে বাস করে ভিন গ্রহের কেহ।