কথোপকথন ৪
------------
অর্কঃ অস্থিরতা তোমায় নিয়ে মন্দ নয়, তবে বিষণ্ণতা খুব পীড়াদায়ক ।


দীপাঃ অথচ সকালটা অন্যরকম হতে পারত। সব ফেলে দূর থেকে ছুঁই ছুঁই গাঢ় প্রেম নতুন ভোরের অভীপ্সায়।


অর্কঃ অন্যরকম সকালের জন্য মানুষটিকেও হতে হয় অন্যরকম।আমি তো আরক্তির প্রেম নই , বিরক্তির অভ্যস্ততা।


দীপাঃ আমিত্বকে ছেড়ে একটু আমার কথাও ভেবো। সব সময় নিজের খেয়ালে নিজের মত করে চাইলে তাকে প্রেম নয় বলে স্বার্থপরতা। আমারও পরিচয় আছে, প্রেমিকার। তুমি শুধু একাই প্রেমিক নও।


অর্কঃ রাত্রি থেকে ভোর কিংবা দহন থেকে বিমোহন সব কিছুই তুমিময়। একটি মুহূর্ত তোমায় বেশী কাছে পেতে আমি ব্যস্ত সড়কে চোখ বুজে দৌড়োতে পারি অবিরাম। আমার জীবনে তুমি অংশ নয় পূর্ণতা। অথচ তোমার অনেক অংশের ভিড়ে আমিও ক্ষুদ্র এক ।


দীপাঃ তুমিই সব, তবে আমার প্রকাশটা তোমার মত করে নয়।


অর্কঃ হাহাহা, সব নয় বলো যত্তসব। কাগজের শুভঙ্করেরা উদার প্রেমিক হয় আর বাস্তবের অর্করা হিংসুটে।


দীপাঃ আর নন্দিনী কিংবা দীপারা কাগজ কিংবা বাস্তব সব প্রেমিকেরই নিকষ অভিমানের স্বীকার।


অর্কঃ হারিয়েছি আস্থাও। অস্থিরতা প্রেমকে বিহ্বল করে না, করে দুঃখময় । আমার কবিতা তোমার স্বতন্ত্র ঘ্রাণে ছন্দায়িত হতে চায়। রাত জাগা কবিতারা তোমার হেয়ালি হেলায় মুখ থুবড়ে পড়ে কার্বেজ ক্যানে।


দীপাঃ কবিতা পুরনো হয়না। কিছু কিছু নীরবতাতেও ভালোবাসা আছে।


অর্কঃ ততক্ষণে কবির মৃত্যু হলো যে! উদ্ভাসি ছন্দরাও আশ্রয় নেবে অন্য কারো কবিতায়,তুমিও ক্লান্ত আজ।


দীপাঃ নির্বাক কিছু সময় সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখে।