বিচ্যুত সময়ের বিভ্রান্তিতে পথভ্রষ্ট হই বারবার
কবেকার কোন অতীতের গৌরবময় অনুভূতি
সময়ের বিপরীতে দাড়িয়ে অঙ্গার- অসার।
মৌন বিকেলের অন্তিমে গোধূলির আবছায়া মায়ায়
সজীবতায় আর উদ্বেলিত নই, আসন্ন রাতের
বিকটতায় ভয়ার্ত থাকি, মূর্ছে যাই প্রতিনিয়ত।


নিরবধি নদীর মতো বয়ে চলে সময়
স্বার্থপরতায় বিভোর হয়ে, কখনোবা প্রচলিত নিয়মের
নির্লজ্জ দাসত্বে।ক্লান্ত অনুভূতি বিবর্ণ হয় বর্তমানের
ধেয়ে আসা নিষ্ঠুর ঝড়ে। নিরুপায় দুমড়ে যাই,
ভেবেছিলাম অন্তর্ধানেই মিলবে মুক্তি। অথচ
আজ বোধ করি মুক্তি কেবল সয়ে যাওয়া নিষ্পেষণেই।


অবোধ লাম্পপোস্ট, কেবল আলো বিলিয়ে দীর্ঘ করে
শবছায়া- সুবিধাবাদী রাত্রি বাহবা নেয় ভয়াল
অন্ধকারের দুর্ভেদ্য গাউন জড়িয়ে, আড়ালে রেখে
নিপীড়িতের শোক, ক্রন্দনস্বর।কবিতাবলি লাঞ্ছিত হয়
অসাম্যের বিদ্রুপে। ঠাই পায় অসার জড় জঞ্জালরূপে
দম্ভজড়ানো স্টাইলিস্ট আসবাবের কোনায় কোনায়।


নিমেষে কবিতাকে দেয়া হয় বেআইনির গ্লানি
প্রেম হয়ে যায় অচ্ছুত লজ্জা, নারী হয় বারবনিতা,
বিপ্লবীর তাজা রক্তে ক্রমশ স্নানরত কুণ্ঠিত সমাজ।
সুধাংশুরা আজ হয়তো পালায়না আর
মুখ বুজে মেনে নেয় অদৃষ্টের পরিহাস, সান্ত্বনা
পায় কবিদের নিষিদ্ধ কবিতার নীরব প্রতিবাদে।